জামালপুরে সরিষাবাড়ীতে মহাশ্মশান কালী মাতা মন্দিরে প্রতিমা ভাঙচুরের অভিযোগ পাওয়া গেছে। বৃহস্পতিবার রাতে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় পুলিশ, ডিবি, ডিএসবি, এনএসআই ও সেনাবাহিনীসহ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শারমিন আক্তার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার রাতে সরিষাবাড়ী পৌরসভার কামরাবাদ এলাকার সরিষাবাড়ী কেন্দ্রীয় মহাশ্মশান কালী মাতা মন্দির। শুক্রবার সকালে মন্দিরের আশপাশের বাসিন্দারা দেখতে পায়, কে বা কারা প্রতিমাগুলো ভাঙচুর করে ফেলে রেখেছে। পরে বিষয়টি এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে। প্রতিমা ভাঙচুরের এ ঘটনাকে পুলিশ প্রশাসন ও স্থানীয় অনেকেই রহস্যজনক বলে ধারণা করছেন।
কালী মাতা মন্দিরের সভাপতি উত্তম কুমার তেওয়ারি জানান, মন্দিরের ছয়টি প্রতিমা ভাঙচুরসহ কিছু নগদ অর্থ ও স্বর্ণালংকার লুট হয়েছে। এটি কে বা কারা করেছে জানি না। তবে অপরাধীকে দ্রুত গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছি।
এদিকে বিভিন্ন সূত্র জানায়, সরিষাবাড়ী হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রসিদ্ধ কয়েকটি মন্দিরের কমিটি নিয়ে দীর্ঘদিন যাবৎ দুইটি গ্রুপে বিরোধ চলে আসছে।
একটি গ্রুপের নেতৃত্ব দিচ্ছেন শ্রী রমেশ চন্দ্র সূত্রধর ও দীপক কুমার সাহা। অপরটির নেতৃত্ব দিচ্ছেন শ্রী কালা চাঁন পাল ও অ্যাডভোকেট শিবলু কুমার ঘোষ। জানা গেছে, তাদের এ আধিপত্য নিয়ে বিরোধ জের ধরে আদালতে একটি মামলা চলমান রয়েছে।
সূত্র আরও জানায়, শ্রী শ্রী খাগুরিয়া কালী মাতা মন্দির ও সরিষাবাড়ী রেল স্টেশন এলাকায় অবস্থিত আর কে মিশন কমিটির পদপদবি নিয়ে এ বিরোধের সৃষ্টি। ধারণা করা হচ্ছে, নিজেদের অভ্যন্তরীণ কোন্দল ও আধিপত্য বিস্তারের অপরাজনীতির শিকার হচ্ছে এসব মন্দির ভাঙচুর ও চুরির ঘটনা।
এ বিষয়ে অ্যাডভোকেট শিবলু কুমার ঘোষ বলেন, নিজেদের মধ্যে কোন্দল এসব কিছু না। দেশে সাম্প্রদায়িক অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করার লক্ষ্যে হয়তো একটি চক্র এসব ঘটাচ্ছে। তবে এই ঘটনা কে বা কারা ঘটিয়েছে আমরা জানি না। এ ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়ে সঠিক তদন্তসহ ও দ্রুত অপরাধীকে গ্রেপ্তারের দাবি জানান তিনি।
এ বিষয়ে জামালপুর জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সোহেল মাহমুদ বলেন, ঘটনাস্থল আমরা পরিদর্শন করেছি। তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।