ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলায় মুয়াজ্জিনের ফতোয়া দেয়াকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে আবারও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় অন্তত ৩০টি বাড়িঘর ভাঙচুর করা হয়। শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) দুপুর পর্যন্ত উপজেলার সাতগাছী গ্রামে একাধিকবার সংঘর্ষে জড়ায় দুই পক্ষ। এ ঘটনায় আব্দুর রাজ্জাক নামে একজনকে আটক করেছে যৌথবাহিনী।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, উপজেলার সাতগাছী গ্রামের কাশেম মোল্লার ছেলের সুন্নতে খৎনার অনুষ্ঠানে গান বাজানো হয়। এরপর গত শুক্রবার জুমার নামাজে গ্রামের মসজিদের মুয়াজ্জিন ও মসজিদ কমিটির সাধারণ সম্পাদক ইমাম হাকিম মোল্লা গান-বাজনা বাজানোকে হারাম বলে ফতোয়া দেয়। এ সময় মসজিদের মধ্যেই কাশেম মোল্লা ও হাকিম মোল্লা গ্রুপের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়। এরই জেরে শুক্রবার বিকেলে দুই গ্রুপের লোকজন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষে বেশ কয়েকটি বাড়িঘর ভাঙচুর করা হয়। এতে নারীসহ অন্তত ১০ জন আহত হন।
এরপর আজ শনিবার সকালে উভয়পক্ষের লোকজন আবারও সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এ সময় অন্তত ৩০টি বাড়িঘর ভাঙচুর করা হয়। তাছাড়া একটি বাড়িতে আগুনও ধরিয়ে দেয়া হয়। পরে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। সংঘর্ষে অন্তত ১৮ জন আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।
শৈলকুপা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাসুম খান বলেন, হুজুরের ফতোয়া দেয়াকে কেন্দ্র করে দুই দল গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ ও সেনাসদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।