রাজধানীর রামপুরা থানা ডিআইটি রোডের ৪৭৫/ই চারতলার মিয়া গার্মেন্টসের একটি কক্ষ থেকে মোছা. শিউলি আক্তার (৩৫) নামে এক নারীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বুধবার দুপুরের দিকে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতনদের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ। রামপুরা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আহমেদুল আরেফিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
জানা যায়, নিহত শিউলি মাদারীপুরের শিবচর উপজেলার বাংলাবাজার কাঁঠালবাড়ি এলাকার মো. খিদির ব্যাপারীর মেয়ে। বর্তমানে রামপুরার বউবাজার এলাকায় পরিবারের সাথে ভাড়া থাকতেন। শিউলির পরিবারের অভিযোগ এটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড।
এসআই আহমেদুল আরেফিন বলেন, আমরা খবর পেয়ে গত রাত সাড়ে তিনটার দিকে ৪৭৫/ই ডিআইটি রোড মালিবাগ চতুর্থতলার মিয়া গার্মেন্টসের একটি কক্ষ থেকে ফ্যানের সঙ্গে গলায় ওড়না পেঁচানো অবস্থায় ঝুলন্ত অবস্থায় ওই নারীর মরদেহ উদ্ধার করি। পরে আইনি প্রক্রিয়া শেষে মরদহ ময়নাতদন্তে জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়। ময়নাতন্ত্রের প্রতিবেদনের রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।
শিউলির ভাই আব্দুর রাজ্জাক হত্যার অভিযোগ তুলে বলেন, আমার বোন প্রায় ২৫ বছর যাবত পোশাক শ্রমিক হিসেবে কাজ করত। সে তুহিন নামের এক ব্যক্তির সঙ্গে মিয়া গার্মেন্টস নামের একটি গার্মেন্টস পার্টনারশিপ হিসেবে কাজ করে। আমার বোন তার সঙ্গে টাকা পয়সা নিয়ে তাদের মধ্যে অনেক দিন ধরেই দ্বন্দ্ব হয়ে আসছিল তুহিনের সঙ্গে।
তিনি আরও বলেন, গতরাতে আমার বোনকে ওই গার্মেন্টসে ডেকে নিয়ে যায়। দুজনের মধ্যে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে আমার বোনকে মারধর করে বলে আমরা জানতে পেরেছি। পরে আমার বোন মারা গেলে ওই ব্যক্তি সিলিং ফ্যানের সঙ্গে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ঝুলিয়ে রেখে পালিয়ে যায়।