রাজধানীর সায়দাবাদ এলাকার মেয়র হানিফ ফ্লাইওভারের ঢালে ছুরিকাঘাতে কামরুল হাসান (২৩) নামে এক কাপড় ব্যবসায়ী নিহত হয়েছেন। এ সময় তার কাছ থেকে ৭ হাজার টাকা ও একটি ফোন খোয়া গেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ৯টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, কামরুল নোয়াখালী জেলার সেনবাগ উপজেলার কেশারপাড়া গ্রামের ইমাম হোসেনের ছেলে। পরিবারের সঙ্গে কদমতলী রায়েরবাগ এলাকায় থাকতেন। দুই ভাই দুই বোনের মধ্যে কামরুল ছিলেন সবার বড়।
নিহতের বাবা ইমাম হোসেন বলেন, তার মানিকনগর ফুটপাতে কাপড়ের ব্যবসা আছে। গত ৭ থেকে ৮ বছর আগে হাফেজি পড়া শেষ করেছিলেন কামরুল। এরপরে মানিকনগরে ফুটপাতে কাপড় ব্যবসা করতো। বেশ কিছুদিন আগে বন্ধু-বান্ধবদের সঙ্গে কক্সবাজার ঘুরতে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছিল কামরুল। বুধবার রাতে কক্সবাজার যাওয়ার উদ্দেশ্যে বাসা থেকে ব্যাগে জামা কাপড় নিয়ে বের হন। তার বন্ধুরাও সায়দাবাদ বাস টার্মিনালে তার জন্য অপেক্ষা করছিলেন।
তিনি আরও বলেন, বাসার সামনে থেকে গুলিস্তানগামী একটি বাসে ওঠেন কামরুল। বাসটি মেয়র হানিফ ফ্লাইওভার দিয়ে যাওয়ার সময় সায়দাবাদে ফ্লাইওভারের উপরেই নামে। সেখান থেকে হেঁটে ফ্লাইওভারের ঢাল দিয়ে নিচে নামার সময় কে বা কারা তার বুকে এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাত করে ফেলে রেখে যায়। পরে স্থানীয় এক ব্যক্তি তার কাছ থেকে ফোন নম্বর নিয়ে বাবাকে ফোনে বিষয়টি জানান। তখন তারা সায়দাবাদ ইসলামী হাসপাতালে গিয়ে ছেলেকে মুমূর্ষু অবস্থায় দেখতে পান। সেখান থেকে তাকে মুগদা হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
ইমাম হোসেন বলেন, কামরুলের কাছ থেকে ৭ হাজার টাকা এবং একটি মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নিয়ে গেছে। ছিনতাইকারীরা এই ঘটনা ঘটিয়েছে নাকি পরিকল্পিতভাবে কেউ তাকে এভাবে হত্যা করেছে তা বলতে পারছি না। তবে কামরুল বাসা থেকে বের হওয়ার সময় কারো সঙ্গে ফোনে তর্কাতর্কি হতে দেখেছেন তার মা।
এদিকে যাত্রাবাড়ী থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আতিকুল ইসলাম বলেন, রাত সাড়ে ৯টার দিকে সায়েদাবাদ ফ্লাইওভারের ঢালে এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে ছিনতাইকারীর কবলে পড়েছিলেন তিনি। বিস্তারিত তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। এই ঘটনায় একটি মামলা প্রক্রিয়াধীন। মরদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে মর্গে পাঠানো হয়েছে।