গণবিধ্বংসী অস্ত্র বিস্তার ও সরবরাহ ব্যবস্থাকে লক্ষ্য করে পাকিস্তানের জাতীয় উন্নয়ন কমপ্লেক্স এবং তিনটি ফার্মের ওপর এ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়। পাকিস্তানের দূরপাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচির ওপর নতুন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এই কর্মসূচি তদারককারী রাষ্ট্র-মালিকানাধীন প্রতিরক্ষা সংস্থাও এই নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়বে।
মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার বুধবার এক বিবৃতিতে বলেন, গণবিধ্বংসী অস্ত্র বিস্তার ও সরবরাহ ব্যবস্থাকে লক্ষ্য করে পাকিস্তানের জাতীয় উন্নয়ন কমপ্লেক্স এবং তিনটি ফার্মের ওপর এই নিষেধাজ্ঞা আরোপের পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
নিষেধাজ্ঞার আওতায়, যুক্তরাষ্ট্রে এসব সংস্থার কোনও সম্পত্তি থাকলে তা জব্দ করা হবে এবং মার্কিনিরা তাদের সঙ্গে কোনও ব্যবসা করতে পারবে না।
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয় বলছে, পাকিস্তানের জাতীয় উন্নয়ন কমপ্লেক্স (এনডিসি) দূরপাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচি এবং ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার সরঞ্জাম সংগ্রহের চেষ্টা করেছে এবং এনডিসি পাকিস্তানের শাহীন সিরিজের ক্ষেপণাস্ত্রসহ ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র উন্নয়নের জন্য দায়ী।
গবেষণা সংস্থা বুলেটিন অব দ্য অ্যাটোমিক সায়েন্টিস্টস জানায়, শাহীন সিরিজের ক্ষেপণাস্ত্র পারমাণবিক অস্ত্র বহনে সক্ষম।
পাকিস্তান বিশ্বের সপ্তম দেশ হিসেবে ১৯৯৮ সালে প্রথম পারমাণবিক অস্ত্র পরীক্ষায় সফল হয়। পাকিস্তানের পরমাণু অস্ত্রভান্ডারে প্রায় ১৭০টি ওয়ারহেড রয়েছে।
কিন্তু পাকিস্তান পারমাণবিক অস্ত্র বিস্তার রোধে আন্তর্জাতিক চুক্তি (এনপিটি) স্বাক্ষর করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছিল। এ চুক্তি পারমাণবিক অস্ত্র বিস্তার রোধে আন্তর্জাতিক ব্যবস্থার ভিত্তিমূলস্বরূপ।
পাকিস্তানের এনডিসির পাশাপাশি করাচির অ্যাফিলিয়েটস ইন্টারন্যাশনাল, আখতার অ্যান্ড সন্স প্রাইভেট লিমিটেড এবং রকসাইড এন্টারপ্রাইজের ওপরও নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
এ প্রতিষ্ঠানগুলো এনডিসি’র সঙ্গে মিলে পরমাণু অস্ত্রের প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম সংগ্রহ করেছে বলে অভিযোগ করেছে মার্কিন পররাষ্ট্রদপ্তর।
যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা আরোপের পদক্ষেপকে দুর্ভাগ্যজনক ও পক্ষপাতমূলক বলে মন্তব্য করে পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলে, এতে আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা বিঘ্নিত হবে।