অটোরিকশা স্ট্যান্ড দখল নিয়ে সংঘর্ষে আহত শ্রমিক দল নেতার মৃত্যু, ফের পাল্টাপাল্টি ধাওয়া

: যথাসময় ডেস্ক
প্রকাশ: ২ মাস আগে

নরসিংদীর মাধবদীর পাঁচদোনায় বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষে আহত আলম মিয়া (৫৫) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) দুপুরে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে তিনি মারা যান। এই মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিকালে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের পাচঁদোনা বাসস্ট্যান্ড অবরোধ করেছেন তার কর্মী-সমর্থকরা। এ সময় বিএনপির দুই পক্ষের মধ্যে আবারও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আলম মিয়ার মৃত্যুর খবর শুনে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের পাচঁদোনা বাসস্ট্যান্ড অবরোধ করেন তার কর্মী-সমর্থকরা। এ সময় পাচঁদোনা ইউনিয়ন বিএনপির সহসভাপতি লাল মিয়া মেম্বার ও বিএনপি নেতা মোছাদ্দেকের কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। প্রায় দুই ঘণ্টা অবরোধ করে রাখা হয় ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক। এতে ওই সড়ক দিয়ে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।

নিহত আলম মিয়া নরসিংদী সদরের পাঁচদোনা ইউনিয়নের বসন্তপুর গ্রামের আলিম উদ্দিনের ছেলে। তিনি ওই ইউনিয়নের শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক এবং ইউনিয়ন বিএনপির সহসভাপতি লাল মিয়ার অনুসারী। মাধবদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নজরুল ইসলাম তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

পুলিশ ও দলীয় সূত্রে জানা যায়, গত ১৭ ডিসেম্বর রাতে পাচঁদোনায় আধিপত্য বিস্তার, এলাকার নিয়ন্ত্রণ ও সিএনজি অটোরিকশা স্ট্যান্ডের দখলকে কেন্দ্র করে ইউনিয়ন বিএনপির সহসভাপতি লাল মিয়া ও স্থানীয় বিএনপির নেতা মোসাদ্দেক হোসেন গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধসহ পাঁচ জন আহত হন। সংঘর্ষে আলম মিয়া মাথায় আঘাত পেয়ে গুরুতর আহত হন। তাকে নরসিংদী সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মঙ্গলবার দুপুরে মারা যান।

এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়ে মঙ্গলবার বিকালে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে দুই পক্ষ মহড়া দেয়। এতে দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়। একপর্যায়ে ঢাকা-সিলেট-মহাসড়কের যান চলাচল বন্ধ করে দেন নেতাকর্মীরা। পরে পু্লিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। ১৯ ডিসেম্বর সংঘর্ষের ঘটনায় লাল মিয়া মেম্বারের ছেলে ইব্রাহিম মিয়া বাদী হয়ে মোসাদ্দেককে প্রধান আসামি করে আরও ১৯ জনের বিরুদ্ধে মাধবদী থানায় মামলা করেন।

মাধবদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নজরুল ইসলাম বলেন, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় আহত আলম মিয়া চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। এটিকে কেন্দ্র করে মহাসড়কে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করেন তার সমর্থকরা। সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে মহাসড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়। সংর্ঘষের ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলাটি হত্যা মামলায় রূপান্তরিত হবে। এ ঘটনায় এখনও কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি।

  • নরসিংদী
  • মৃত্যু
  • শ্রমিকদল নেতা
  • #