সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান ও ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন সেন্টারের (এনটিএমসি) সাবেক মহাপরিচালক জিয়াউল আহসানকে ‘রক্ষার চেষ্টাকারী’ পুলিশ কর্মকর্তাকে আইনের আওতায় আনা হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, এ ধরনের কাজ আমরা কোনো সময় প্রশ্রয় দেব না।
বুধবার সন্ধ্যায় রাজধানীর কাকরাইলে সেন্ট মেরিস ক্যাথেড্রালে বড়দিনের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে এসে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা এ কথা বলেন।
এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, যিনি এই কাজ করেছেন, তাঁকে কিন্তু আমরা আইনের আওতায় নিয়ে আসব। তিনি মনে হয় এখন ছুটিতে আছেন। ছুটিতে থাকলেও ছুটি বেশি দিন কাটাতে পারবেন না। আমরা তাঁকে আইনের আওতায় নিয়ে আসব।
ছাত্র-জনতার আন্দোলন চলাকালে গত ১৬ জুলাই নিউমার্কেট এলাকায় সংঘর্ষের মধ্যে ছাত্রলীগের কর্মী সবুজ আলী ও নিউমার্কেট এলাকার হকার মো. শাহজাহান নিহত হন। ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর ওই দুই হত্যা মামলায় আনিসুল হক, সালমান এফ রহমান, জিয়াউল আহসানসহ বেশ কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
একটি গণমাধ্যমের ছাপা সংস্করণে ‘আনিসুল হক, সালমান ও জিয়াকে অব্যাহতির চেষ্টা’ শিরোনামে প্রধান প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এতে বলা হয়, সবুজ আলী ও শাহজাহান হত্যা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবি) রমনার পরিদর্শক জাহাঙ্গীর আরিফ ‘যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ না করেই’ আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেওয়ার চেষ্টা করেন।
ওই চূড়ান্ত প্রতিবেদনে ‘সাক্ষ্য-প্রমাণ না পাওয়ায়’ আনিসুল, সালমান ও জিয়াউলকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়ার আবেদন জানান তদন্ত কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আরিফ। প্রথম আলোর প্রতিবেদনে বলা হয়, আদালতে ওঠার আগেই বিষয়টি ধরা পড়ায় আবার তদন্ত করা হচ্ছে। বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর ‘অসুস্থতা’র কথা বলে ছুটিতে চলে গেছেন ওই কর্মকর্তা।