নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। উপদেষ্টা, সচিব ও সংস্থাপ্রধান ছাড়া অন্য কারও গাড়ি সচিবালয়ে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি। স্থায়ী পরিচয়পত্র দেখিয়ে সচিবালয়ে প্রবেশের পর অফিস করেছেন সচিবালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
২৬ ডিসেম্বর দিবাগত রাতে ওই ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের পর রোববার প্রথম কর্মদিবসে খুলেছে সচিবালয়। এরপর কর্মকর্তা-কর্মচারীদের প্রবেশে পরিচয়পত্র নিশ্চিত ব্যবস্থা আরোপ করা হয়। অতিরিক্ত সচিব থেকে নিচের দিকের কর্মকর্তারা প্রবেশপথে গাড়ি ছেড়ে দিয়ে পরিচয়পত্র দেখিয়ে ভেতরে প্রবেশ করেন।
জরুরি দর্শনার্থীদের ক্ষেত্রে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে আব্দুল গনি রোডে পৃথক বুথ চালু করা হয়। ১ নম্বর গেট দিয়ে ঊর্ধ্বতনেরা গাড়ি নিয়ে ঢোকেন। ২ নম্বর ও ৫ নম্বর গেট দিয়ে অন্যরা পায়ে হেঁটে প্রবেশ করেন।
১ নম্বর গেটে দায়িত্বরত পুলিশ কর্মকর্তা হাসান তারেক সাংবাদিকদের বলেন, উপদেষ্টা, সচিব, সংস্থাপ্রধান ও অগ্নিকাণ্ডের তদন্তে নিয়োজিত কর্মকর্তা ছাড়া অন্য কোনো কর্মকর্তাকে গাড়ি নিয়ে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না।
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম আজ বলেন, আগামীকাল সোমবার ৩০ ডিসেম্বর থেকে সাংবাদিকেরা অস্থায়ী পাস নিয়ে সচিবালয়ে প্রবেশ করতে পারবেন।
সচিবালয়ে প্রবেশে অস্থায়ী প্রবেশ পাসের জন্য আবেদন গ্রহণের লক্ষ্যে একটি ‘বিশেষ সেল’ গঠন করেছে সরকার। সেল গঠন করে গতকাল শনিবার অফিস আদেশ জারি করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ। উপসচিব মো. আমিনুল ইসলাম স্বাক্ষরিত স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের প্রশাসন-১ শাখা থেকে এ-সংক্রান্ত আদেশ জারি করা হয়।
এতে বলা হয়, ‘বাংলাদেশ সচিবালয়ে প্রবেশের জন্য অস্থায়ী প্রবেশ পাসের আবেদন গ্রহণ করার নিমিত্তে ক্রাইম কমান্ড অ্যান্ড কন্ট্রোল সেন্টার, ডিএমপি, ১৫ আব্দুল গণি রোড, ঢাকায় ‘অস্থায়ী প্রবেশ পাস-সংক্রান্ত বিশেষ সেল’ গঠন করা হয়েছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের দুই কর্মকর্তা/কর্মচারীকে পরবর্তী আদেশ না দেওয়া পর্যন্ত সেই সেলে দায়িত্ব পালনের জন্য নির্দেশক্রমে সংযুক্ত করা হয়েছে।সংযুক্ত দুই কর্মকর্তা/কর্মচারী হলেন সিনিয়র সহকারী সচিব (প্রশাসন-৩ শাখায় সংযুক্ত) এফ এম তৌহিদুল আলম ও অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক (সচিবালয় নিরাপত্তা শাখা) মৃত্যুঞ্জয় বাড়ৈ।’