চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড উপজেলার ছলিমপুর ইউনিয়ন শ্রমিক দল নেতা মীর আরমান হোসাইনকে পায়ের রগ কাটার পর কুপিয়ে হত্যা করা হয় । রগ কাটার বিষয়টি প্রথমে পরিবার না জানলেও শনিবার ডাক্তারি পরীক্ষায় (ময়নাতদন্তে) বিষয়টি উঠে এসেছে। এদিকে হত্যাকাণ্ডের তিনদিন পেরিয়ে গেলেও এখনো রহস্য উদঘাটন করতে পারেনি পুলিশ। মামলাও হয়নি থানায়। গ্রেপ্তার হয়নি কেউ।
তবে নিহতের পরিবারের দাবি, অধিপত্য বিস্তার ও দলীয় কোন্দলে হত্যার শিকার হয়েছেন আরমান।
আরমানের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করেন চট্টগ্রাম নগরের পাঁচলাইশ থানার এসআই ফারুক আহমেদ। তিনি সমকালকে বলেন, আরমানের শরীরে অসংখ্য ছুরিকাঘাতের চিহ্ন ছিল। তার দুই পায়ের রগও ছুরি দিয়ে কাটার চিহ্ন ছিল।
নিহত আরমানের শ্যালক মোহাম্মদ আরিফ বলেন, দোকানে চা পান করছিলেন মীর আরমান হোসাইন। অধিপত্য বিস্তার ও দলীয় কোন্দলের শিকার হয়েছেন আরমান। হত্যাকারী আল আমিন ও তার সহযোগীরা স্থানীয় ইউনিয়ন যুবদলের সাবেক সভাপতি মো. রোকন উদ্দিনের অনুসারী।
বিএনপির সীতাকুণ্ড উপজেলা কমিটির সদস্য সচিব কাজী মো. মহিউদ্দিন বলেন, বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কমিটির সদস্য আসলাম চৌধুরীর নির্দেশে হত্যাকাণ্ডের ঘটনা তদন্তে একটি তিন সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত করে প্রতিবেদন জমা দেবে কমিটি।
সীতাকুণ্ড থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মজিবুর রহমান বলেন, আরমান হত্যায় জড়িতদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনা হচ্ছে। নিহতের স্ত্রী বাদী হয়ে থানায় একটি মামলা করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে তিনি জানান।
ছলিমপুর ইউনিয়ন যুবদলের সাবেক সভাপতি মোহাম্মদ রোকনের মোবাইল ফোনে কল করা হলেও তা বন্ধ পাওয়া যায়। ফলে তার বক্তব্য নেওয়া যায়নি।