সাঁওতাল নারীকে মারধর ও বাড়িতে আগুন, বিএনপি নেতাসহ ৩১ জনের বিরুদ্ধে মামলা

: যথাসময় ডেস্ক
প্রকাশ: ৩ মাস আগে

গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে সাঁওতাল নারীকে মারধর ও বাড়িতে আগুন দেওয়ার ঘটনায় থানায় মামলা করেছে ভুক্তভোগীর পরিবার। এতে রাজাহার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলামকে প্রধান করে এজাহারনামীয় ছয় জন ও অজ্ঞাত আরও ২৫ জনকে আসামি করা হয়েছে।

অভিযুক্ত চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম রাজাহার ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য।

শনিবার সন্ধ্যায় আহত সাঁওতাল নারী ফিলোমিনা হাসদার ছেলে জুলিয়াস সরেন বাদী হয়ে গোবিন্দগঞ্জ থানায় মামলাটি করেন। এর আগে শুক্রবার সকালে রাজাবিরাট গ্রামে মারধরের শিকার সাঁওতাল নারী। বর্তমানে বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন তিনি।

স্বজনদের অভিযোগ, রাজাবিরাট গ্রামের পাশে সাঁওতালদের পৈতৃক জমি আছে। জমিটি পতিত অবস্থায় ছিল। সেই জমিতে শুক্রবার সকালে মাটি ভরাট করছিলেন রাজাহার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম। হঠাৎ মাটি ভরাট দেখে কয়েকজন সাঁওতাল যুবক বাধা দেন। এর জেরে চেয়ারম্যান ও তার লোকজন প্রথমে নিকোলাস মুরমু নামে এক যুবক ও পরে ফিলোমিনা হাসদা নামে সাঁওতাল নারীকে মারধর করেন। চেয়ারম্যানের মারধরে ফিলোমিনা হাসদার বাম কানের পর্দা ফেটে গেলে রক্তাক্ত অবস্থায় তাকে প্রথমে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এরপর রাত ১১টার দিকে বাড়িতে চেয়ারম্যানের লোকজন আগুন লাগিয়ে দেন। এতে মাটির ঘরের আসবাবপত্র ও টিনের চাল পুড়ে লক্ষাধিক টাকা ক্ষতি হয় বলে অভিযোগ তাদের।

তবে অভিযোগ অস্বীকার করে চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম জানান, বাঙালি মালিকের কাছে ক্রয় করা ১৬ শতক জমিতে মাটি ভরাট করতে গেলে ব্রিটিশ সরেনসহ কয়েকজন বাধা দেয়। আমার লোকজন তাদের তাড়িয়ে দেয়। স্থানীয় অনেকে দেখেছে কারা আগুন দিয়েছে। অথচ তারা আমাকে ফাঁসানোর চেষ্টা করছে।

মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে গোবিন্দগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বুলবুল ইসলাম জানান, মারধর ও বাড়িতে আগুনের ঘটনায় আহত নারীর ছেলে থানায় মামলা করেছেন। মামলার আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

  • আগুন
  • গাইবান্ধা
  • গোবিন্দগঞ্জ
  • নারী
  • বাড়ি
  • মারধর
  • সাঁওতাল
  • #