বাংলা গদ্যে চলতিরীতির প্রাবর্তক, ‘বীরবল’খ্যাত সাহিত্যিক প্রমথ চৌধুরীর জন্ম ও মৃত্যুর বছর নিয়ে ভুল ধরা পড়েছে উচ্চ মাধ্যমিকের পাঠ্যবইয়ে। ‘প্রমথ চৌধুরীর পৈত্রিক নিবাস পাবনা জেলার হরিপুর গ্রামে। তিনি ১৯৬৮ খ্রিষ্টাব্দে যশোরে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর মৃত্যু ১৯৪৬ সালে।’
জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) একাদশ-দ্বাদশ ও আলিমের বাংলা বিষয়ের ‘সাহিত্য পাঠ’ বইয়ের ৪০ নম্বর পৃষ্ঠায় ‘সাহিত্যে খেলা’ প্রবন্ধে লেখক পরিচিতিতে এমনটাই বলা হয়েছে প্রথিতযশা এ সাহিত্যিক সম্পর্কে। যার অর্থ দাঁড়ায়, মৃত্যুর ২২ পর জন্ম নিয়েছিলেন প্রমথ চৌধুরী!
প্রমথ চৌধুরীর জন্ম ১৮৬৮ সালের ৭ অগাস্ট যশোর জেলায়। আর ১৯৪৬ সালের ২ সেপ্টেম্বর শান্তি নিকেতনে মৃত্যুবরণ করেন।
গত বছরের ১ জুলাই একাদশ শ্রেণির ক্লাস শুরু হয়েছিল। অগাস্টে সরকার পরিবর্তনের পর গত ১৮ নভেম্বর থেকে এ বইটি সংশোধন ও পরিমার্জনের পর বাজারজাত শুরু হয়। বইটি পরিমার্জন তদারকি করেছিল এনসিটিবি।
বইটি পরিমার্জনের দায়িত্বে ছিলেন কয়েকজন বিশেষজ্ঞ। তাদের একজন শিক্ষা ও শিশু রক্ষা আন্দোলনের (শিশির) আহ্বায়ক ও লেখক রাখাল রাহা বলেন, তিনি, বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক মোহাম্মদ আজম, সহকারী অধ্যাপক মো. রাফাত আলম মিশুসহ কয়েকজন বিশেষজ্ঞের একটি দল বইটি পরিমার্জনের দায়িত্বে ছিলেন। এ ভুলের জন্য দুঃখ প্রকাশ করেন রাখাল রাহা।
এনসিটিবির চেয়ারম্যান অধ্যাপক এ কে এম রিয়াজুল হাসান বলেন, এ ভুলের বিষয়টি আমরা বিজ্ঞপ্তি জারি করে শিক্ষার্থীদের জানিয়ে দেব।