বরিশালের বানারীপাড়ায় সৈয়দকাঠি ইউপির চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আনোয়ার হোসেন মৃধার বিএনপি সমর্থক ভাই-ভাতিজার বিরুদ্ধে সাবেক চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা আ.মন্নান মৃধার ঘেরের মাছ লুট করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ও বানারীপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য আ.মন্নান মৃধা অভিযোগ করেন স্থানীয় বিএনপি সমর্থক করিম মৃধা, তার ছেলে বরিশাল জেলা ছাত্রদলের দপ্তর সম্পাদক রফিকুল ইসলাম ও বানারীপাড়া উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক শফিকুল ইসলাম শান্তর নেতৃত্বে উপজেলার সৈয়দকাঠি এসইএসডিপি স্কুলসংলগ্ন তার মাছের ঘেরে গত বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) গভীর রাতে সেচ পাম্প লাগিয়ে পানি সেচে ও জাল টেনে ওই রাতের শেষ প্রহরে এবং গত শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) দিনভর কয়েক লাখ টাকার চিংড়ি, রুই, কাতল, তেলাপিয়া ও পাঙ্গাসসহ বিভিন্ন জাতের মাছ লুট করে নেওয়া হয়েছে। তিনি ওই ঘেরে গত বছর প্রায় ৪ লাখ টাকার মাছ ছেড়েছিলেন বলে জানান। করিম মৃধা সৈয়দকাঠি ইউপি চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আনোয়ার হোসেন মৃধার সেজ ভাই এবং রফিকুল ইসলাম ও শফিকুল ইসলাম শান্ত তার ভতিজা। আ.মন্নান মৃধা আরও অভিযোগ করেন একই ব্যক্তিরা গত দেড় মাস পূর্বে ওই ইউনিয়নের একতারহাট বাজারে তার মালিকানাধীন দোকানঘরের ভাড়াটিয়া রাসেলকে জোরপূর্বক নামিয়ে দিয়ে তা দখল করে স্থানীয় ২ ও ৩ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপি অফিস করেছেন। ৫ আগস্টের পরে একাধিক হয়রাণিমূলক মামলায় আসামি হয়ে এবং হামলার শিকার হওয়ার আশঙ্কায় তিনি নিজ বাড়িতে যেতে পারছেন না বলেও জানান।
এ প্রসঙ্গে সৈয়দকাঠি ইউপি চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আনোয়ার হোসেন মৃধা বলেন, একতারহাট বাজারের দোকানঘরের সম্পত্তি তার এবং ঘেরের ওই সম্পত্তি তার ভাই করিম মৃধা এবং করিম মৃধার শ্যালক খোকন মৃধাদের। আ. মন্নান মৃধা জোর করে এতদিন ওই সম্পত্তিগুলো জবরদখল করে রেখেছিলেন। ২৭ শতক সম্পত্তির পুকুর আকৃতির ওই ঘেরের মাছ বন্যায় বের হয়ে যাওয়ার পরে টুকটাক মাছ ছিল বলেও তিনি দাবি করেন। তার ভাই করিম মৃধারও একই দাবি।
ওই সম্পত্তির অপর মালিকানা দাবিদার ঢাকায় ব্যবসায়ী খোকন মৃধা মুঠোফোনে জানান, মাছ ধরে নেওয়ার জন্য নয়, বেদখল হয়ে যাওয়া তাদের সম্পত্তি দখলে নিতে পানি সেচে ওখানে ভরাট করা মূল উদ্দেশ্য। উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্ববায়ক শফিকুল ইসলাম শান্ত বলেন, শ্রীনাথ, ধনঞ্জয় নাথ ও মথুরানাথ নামের তিন ভাইয়ের ৮২ শতক সম্পত্তির মধ্যে ১৯৯৭ সালে মধুরানাথের ২৭ শতক তার বাবা করিম মৃধা ও মামা খোকন মৃধা ক্রয় করেন। ২০১২ সালে শ্রীনাথ ও ধনঞ্জয় নাথের অংশ ৫৫ শতক সম্পত্তি আ.মন্নান মৃধা ক্রয় করে তাদের ক্রয়কৃত ২৭ শতকসহ পুরো ৮২ শতক সম্পত্তি দখল করে ভোগ করে আসছিলেন। মাছ লুট নয় বেদখল হওয়া ওই ২৭ শতক সম্পত্তি ফিরে পেতে সেচ পাম্প দিয়ে পানি নিষ্কাশন করা হচ্ছে।