নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তাঁর দায়িত্ব গ্রহণের পর চীন সফরের ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন। ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের প্রতিবেদন অনুসারে, ট্রাম্প চীন সফরের বিষয়ে তাঁর উপদেষ্টাদের সঙ্গেও আলোচনা করেছেন। তবে চীনা পণ্যে উচ্চ শুল্ক আরোপের হুমকির কারণে প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংয়ের সঙ্গে ট্রাম্পের সম্পর্ক ইতিমধ্যেই চাপের মুখে রয়েছে। এদিকে ট্রাম্প ভারত সফরের পরিকল্পনাও করছেন বলে জানা গেছে।
এর আগে ২০১৭ সালে প্রথম দফায় প্রেসিডেন্ট থাকাকালে ট্রাম্প বেইজিং সফর করেছিলেন। তবে এবারের সফরের বিষয়ে এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। একটি সূত্র বলছে, ট্রাম্প দায়িত্ব নিয়ে প্রথম ১০০ দিনের মধ্যে চীন সফরের আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।
গত শুক্রবার ট্রাম্প ও সি চিন পিংয়ের মধ্যে ফোনালাপ হয়। নির্বাচনের পর এটি ছিল তাঁদের প্রথম যোগাযোগ। ফোনালাপে আলোচনার বিষয়বস্তু ছিল বাণিজ্য, ফেন্টানাইল (ড্রাগ), টিকটক এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু। পরবর্তীতে ট্রাম্প নিজের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে লিখেছেন, ‘আমার প্রত্যাশা, আমরা একসঙ্গে অনেক সমস্যার সমাধান করতে পারব এবং তা অবিলম্বে শুরু হবে।’
এদিকে, তাইওয়ান ইস্যু নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রকে সতর্ক অবস্থান নিতে বলেছে চীন। যেখানে তাইওয়ানের প্রতিনিধিদল ট্রাম্পের অভিষেক (২০ জানুয়ারি) অনুষ্ঠানে অংশ নেবে।
এদিকে সি চিন পিংয়ের বিশেষ দূত হিসেবে ভাইস প্রেসিডেন্ট হান ঝেং ট্রাম্পের অভিষেক অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন। যুক্তরাষ্ট্রে তাঁকে প্রজ্ঞাবান ও ব্যবসাবান্ধব নেতা হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
এদিকে ট্রাম্প ভারত সফরের পরিকল্পনাও করছেন বলে জানা গেছে। তবে দায়িত্ব গ্রহণের পর তাঁর মূল মনোযোগ থাকবে অভ্যন্তরীণ ইস্যুতে। এর মধ্যে সীমান্তে নিরাপত্তা জোরদার ও অভিবাসন সংক্রান্ত বিষয় গুরুত্বপূর্ণ। এ ছাড়া নির্বাহী আদেশগুলোর প্রচারে প্রথম সপ্তাহে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন প্রদেশ ভ্রমণ করবেন বলেও জানা গেছে।