চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক নিয়ন্ত্রিত ডিসি পার্কের ফুল উৎসবে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। মঙ্গলবার (০৪ ফেব্রুয়ারি) রাত ৮টার দিকে এ হামলা-ভাঙচুর করেছেন ২৫-৩০ জনের একটি গ্রুপ। হামলায় ডিসি পার্কের প্রবেশপথ, টিকিট কাউন্টার, ফুল গাছ, পার্কের দোকানসহ বিভিন্ন স্থাপনা তছনছ করে দেওয়া হয়েছে।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে ডিসি পার্কের সামনের পোর্ট লিংক রোডে চলাচল করা লরি গাড়ির এক চালকের সঙ্গে পার্কের নিরাপত্তাপ্রহরীর বাগবিতণ্ডা হয়। সেখান থেকে ওই চালক চলে গিয়ে কিছুক্ষণ পর ২৫-৩০ জনের দলবল নিয়ে এসে লাঠিসোঁটা নিয়ে পার্কে হামলা চালান। তারা পার্কের প্রবেশপথ, টিকিট কাউন্টার, ফুল গাছ, পার্কের দোকানসহ বিভিন্ন স্থাপনা ভাঙচুর করেন।
সীতাকুণ্ড থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মুজিবুর রহমান বলেন, সড়কের এক গাড়ি চালকের সঙ্গে পার্কের নিরাপত্তাকর্মীর কথা কাটাকাটি হয়। এরপর ওই চালক গিয়ে ২৫-৩০ জনের দলবল নিয়ে এসে পার্কে হামলা চালান। এতে পার্কের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। বিষয়টি আমরা তদন্ত করে দেখছি। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে। তবে ঘটনার পরপরই হামলাকারীরা পালিয়ে গেছে।
এ ব্যাপারে জানতে চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক ফরিদা খানমের মোবাইল নম্বরে একাধিকবার কল দিলেও রিসিভ করেননি। তবে জেলা প্রশাসকের পক্ষ থেকে বলা হয়, ডিসি পার্ক সংলগ্ন রাস্তায় ট্রাক, লরির চালক ও শ্রমিকদের দুই পক্ষের মধ্যে বাগবিতণ্ডা হয়। পরে তা সহিংসতায় রূপ নেয়। সহিংসতা ডিসি পার্কে ছড়িয়ে পড়ে। পরবর্তীতে সেনাবাহিনী, পুলিশ ও জেলা প্রশাসনের ম্যাজিস্ট্রেট সেখানে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
এর আগে গত ৪ জানুয়ারি থেকে ডিসি পার্কে শুরু হয় ফুল উৎসব। এতে ১৩৬ প্রজাতির ফুল রয়েছে। আগামী বৃহস্পতিবার ‘গালা নাইট’ কনসার্ট আয়োজনের মধ্য দিয়ে জেলা প্রশাসক আয়োজিত মাসব্যাপী ফুল উৎসব শেষ হওয়ার কথা রয়েছে।
‘গালা নাইট’ কনসার্ট নগরের এম এ আজিজ স্টেডিয়ামে হবে। এই কনসার্টের অন্যতম আকর্ষণ নগর বাউল। এদিন সন্ধ্যায় গানে গানে উৎসব রঙিন করে তুলবেন জেমস। পাশাপাশি পারফর্ম করবে এ সময়ের আলোচিত আরও সাতটি ব্যান্ড। গতকাল সোমবার বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে এক সংবাদ সম্মেলনে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক ফরিদা খানম এসব তথ্য তুলে ধরেন। চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের সম্মেলনকক্ষে আয়োজিত এ সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানান, বৃহস্পতিবার দুপুর থেকে শুরু হবে কনসার্ট, চলবে রাত পর্যন্ত। কনসার্টে নিরাপত্তার জন্য এক হাজার পুলিশ সদস্য, ছাত্র প্রতিনিধি ও বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সদস্যরা থাকবেন। জনপ্রিয় ব্যান্ড নগর বাউল, সোলস, আর্টসেল, শিরোনামহীন, তীরন্দাজ, লালন, অ্যাভয়েড রাফা, আর্বোভাইরাস, উন্মাদ গান পরিবেশন করবে।