পিরোজপুরের নাজিরপুরে আইনজীবীর মাকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে প্রতিবেশীদের বিরুদ্ধে। গতকাল শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি) এ ঘটনা ঘটে। তাপস কুমার ভক্ত পিরোজপুর জজকোর্টের আইনজীবী। তিনি নাজিরপুর উপজেলার ৭ নং সেখমাটিয়া ইউনিয়নের মৌখালী গ্রামের মৃত সুমন্ত কুমার ভক্তের ছেলে।
তাপস কুমার জানান, শুক্রবার সকালে খবর পেয়ে পিরোজপুর থেকে বাড়িতে এসে দেখতে পান তার মা লহ্মী রানী ভক্ত (৭৫) কে হাত-পা বেঁধে মৃত অবস্থায় খাটের উপর ফেলে রাখা হয়েছে।
তিনি অভিযোগ করেন, এর সাথে জড়িত প্রতিবেশী আফজাল হোসেন ও তার স্ত্রী, ৪ ছেলে ও মাসুম মিনা, সাধু ও মিঠু জড়িত রয়েছে। আমার ধারণা তারা আমার মাকে হাত-পা বেঁধে হত্যা করে রেখে গেছে। তাদের সাথে আমার জমি-জমা নিয়ে বিরোধ রয়েছে।
মাসুম মিনা ওই ইউনিয়নের বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ও একই এলাকার মৃত লতিফ মিনার ছেলে। সন্তোষ হালদার (সাধু) মৌখালী ওয়ার্ডের যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক এছাড়া মশিউর রহমান মিঠু উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক ও একই এলাকার মৃত মহসিন মোল্লার ছেলে।
স্থানীয় নুর ইসলাম শেখ বলেন, তিনি ওই বাড়ির কিছু খেজুর গাছ কাটেন। তার রস দিতে শুক্রবার ভোরে ওই বাড়িতে যান।
ঘরে কাউকে না পেলে পার্শ্ববর্তী বাড়ির কৃষ্ণা মন্ডলকে ডাকেন। কৃষ্ণা মন্ডল ঘরে ঢুকে তাকে মৃত্যু অবস্থায় দেখতে পান।
স্থানীয় কৃষ্ণা মন্ডল (২৮) জানান, শুক্রবার ভোরে তিনি ওই বাড়িতে গেলে ঘরের দরজা খোলা দেখতে পান। ঘরে ঢুকে তিনি ওই বৃদ্ধাকে হাত-পা বাঁধা ও মৃত দেখতে পেয়ে স্থানীয়দের খবর দেন।
তাপস ভক্ত আরো জানান, স্থানীয় বিএনপি নেতা আফজাল শেখ, মাসুম মিনা, সন্তোষ হালদার সাধু ও মশিউর রহমান মিঠুসহ একটি গ্রুপের সাথে দীর্ঘ দিন ধরে জমি জমা নিয়ে বিরোধ চলছে। এর জেরে তার মাকে হত্যা করা হতে পারে বলে ধারণা করছি।
জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যক্ষ আলমগীর হোসেন হত্যার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন, হত্যার সুষ্ঠু তদন্ত করে জড়িতদের খুঁজে বের করে বিচারের আওতায় আনতে হবে।
নাজিরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মাহমুদ আল ফরিদ ভূইয়া বলেন, আমাদের তদন্ত কার্যক্রম চলমান রয়েছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। এখন পর্যন্ত মামলা হয় নাই।