অমর একুশে বইমেলার সব্যসাচী প্রকাশনীর স্টলে বাকবিতণ্ডা ও হট্টগোলের ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, বইমেলায় এ ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা বাংলাদেশের উন্মুক্ত সাংস্কৃতিক চর্চাকে ক্ষুণ্ন করে, ১৯৫২ সালের মহান ভাষা আন্দোলনে শহীদদের মর্যাদার প্রতি অবমাননা প্রদর্শন করে। সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) রাতে এক বিবৃতিতে এ বার্তা দেন প্রধান উপদেষ্টা।
তিনি বলেন, এ ধরনের বিশৃঙ্খল আচরণ বাংলাদেশে নাগরিকের অধিকার ও দেশের আইন- উভয়ের প্রতিই অবজ্ঞা প্রদর্শন করে। একুশে বইমেলা এ দেশের লেখক ও পাঠকদের প্রাণের মেলা। এ দেশের সাহিত্যিক, প্রাবন্ধিক, চিন্তক, শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ সব শ্রেণি-পেশা-বয়সের মানুষের মিলনস্থল।
বিবৃতিতে বলা হয়, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার পুলিশ ও বাংলা একাডেমিকে এই ঘটনার তদন্ত করে দোষীদের আইনের আওতায় আনার নির্দেশ দিয়েছে। পুলিশকে মেলায় নিরাপত্তা জোরদার করার এবং অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ স্থানে যেন কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে তা নিশ্চিত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সরকার সংশ্লিষ্ট নিরাপত্তা সংস্থাগুলো দেশে যে কোনো ধরনের গণ সহিংসতার ঘটনা বন্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ারও নির্দেশ দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার।
প্রসঙ্গত, এর আগে সন্ধ্যায় বইমেলায় ‘সব্যসাচী’ স্টলের সামনে ভিড় করে তসলিমা নাসরিনের বই রাখার প্রতিবাদ জানায় একটি পক্ষ। বাকবিতণ্ডার একপর্যায়ে পুলিশ শতাব্দী ভবকে মেলার কন্ট্রোল রুমে নিয়ে যায়। এসময় কন্ট্রোল রুম ঘিরে রাখে প্রতিবাদকারীরা। এক পর্যায়ে শতাব্দী ভবকে থানায় নিয়ে যেতে চাইলে তার ওপর হামলা করে বিক্ষুব্ধ বেশ কয়েকজন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসার পর তাকে থানায় নেওয়া হয়।