কীর্তনখোলা নদীতে জ্বালানি তেলের ড্রামবাহী একটি ট্রলারে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় চারজন দগ্ধ হয়েছে। এছাড়া এ ঘটনায় দুজন নিখোঁজ রয়েছেন বলে জানা গেছে। বুধবার সন্ধ্যায় এ ঘটনা ঘটে। দগ্ধরা হলেন ট্রলারের স্টাফ রুবেল হোসেন (২৯), মানিক (৩০), সম্পদ (২২) এবং মান্না (২৪)। তাদের সবার বাড়ি নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলায়। তাদের বরিশাল শের-ই-বাংলা চিকিৎসা মহাবিদ্যালয় (শেবাচিম) হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
স্থানীয়রা জানায়, এমভি রাশেদা-রহিমা নামের ওই মালবোঝাই ট্রলারের ইঞ্জিন থেকে আগুনের সূত্রপাত ঘটে। জ্বালানি তেলে আগুন লাগার ফলে আশপাশের এলাকা কেঁপে ওঠে। এতে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন স্থানীয় বাসিন্দারা।
রশিদ এন্টারপ্রাইজের মালিকানাধীন ট্রলারের স্টাফ আমজাদ হোসেন বলেন, বরিশাল থেকে মাল নিয়ে নোয়াখালীর হাতিয়া যাই। ৭৮ ব্যারেল জ্বালানি এবং মুরগির খাবারসহ বিভিন্ন মালামাল নিয়ে ইঞ্জিন চালু করতে গেলে তাতে আগুন ধরে যায়। এ সময় ইঞ্জিন রুম থেকে তেলের ড্রামে আগুন ধরলে মুহূর্তের মধ্যে তা ট্রলারে ছড়িয়ে পরে।
তিনি বলেন, ইঞ্জিনের আগুনে চারজন দগ্ধ হয়। আমি ও ট্রলারের অপর স্টাফ দুলাল ট্রলার থেকে পানিতে লাফ দেই। ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। ফলে তেলের ড্রামে আগুন লাগতে পারেনি। আহতদের শেবাচিম হাসপাতালে ভর্তি করে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। পরে তাদের ঢাকায় নেওয়া হয়েছে।
নৌ-পুলিশের সদস্য মো. সোহেল বলেন, আহতদের কয়েকজনের বুক ও হাত পুড়ে গেছে। উদ্ধার করে তাদের হাসপাতালে ভর্তি করি। ট্রলারের আগুন নিয়ন্ত্রণ শেষে সেটা নোঙর করা হয়েছে। ট্রলারের ইঞ্জিন থেকেই আগুনের সূত্রপাত বলে তারা জানতে পেরেছি।