বরিশাল শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানকে অবরুদ্ধ রাখলেন ছাত্রদল-স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতারা

: বরিশাল ব্যুরো
প্রকাশ: ৫ দিন আগে

বিদ্যালয়ের কমিটিতে মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব জিয়া উদ্দিন সিকদারের নাম এক নম্বরে না রাখায় ছাত্রদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের অর্ধশত নেতাকর্মীরা বরিশাল শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ইউনুস আলী সিদ্দিকীকে সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় তার কক্ষে অবরুদ্ধ করেছেন। এক ঘণ্টা পর বোর্ড চেয়ারম্যানকে অবরুদ্ধ করে রাখার খবর পেয়ে গণমাধ্যমকর্মীরা ঘটনাস্থলে গেলে নেতাকর্মীরা সটকে পরেন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, সন্ধ্যার পর পরই হঠাৎ করে একদল নেতাকর্মী বরিশাল শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ইউনুস আলী সিদ্দিকীর কক্ষের সামনে জড়ো হয়ে হইচই শুরু করেন। এ সময় কয়েকজন নেতা বোর্ড চেয়ারম্যানের কক্ষের ভেতরে ঢুকে তার কাছে জানতে চান, কেন জিয়া উদ্দিন সিকদারকে নগরীর এ ওয়াহেদ বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের আহবায়ক কমিটির তালিকায় এক নম্বরে রাখা হয়নি। এ সময় কয়েকজন নেতাকর্মী আবার টেবিল চাপড়ে বোর্ড চেয়ারম্যানকে হুমকি প্রদর্শন করেন।

খবর পেয়ে গণমাধ্যমকর্মী এবং গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছলে বিএনপি নেতা জিয়ার অনুসারীরা সাংবাদিকদের দায়িত্ব পালনে বাঁধা দেওয়ার চেষ্টা করেন।

ঘটনাস্থলে যাওয়া বরিশাল নগরীর ১৭ নম্বর ওয়ার্ড ছাত্রদলের সভাপতি শাহরিয়ার তুষার দাবি করেন, তিনি বোর্ড চেয়ারম্যানের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে গিয়েছিলেন। সেখানে কুশল বিনিময় করেছেন। চেয়ারম্যানকে ঘেরাও করা হয়েছে এমনটা তিনি দেখেননি।

মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহবায়ক তারেক সোলায়মান বলেন, আমি কেন বোর্ডে যাব? আমি কিছুই জানি না।

ছাত্রদল নেতা ইলিয়াস তালুকদার বলেন, চেয়ারম্যানের কাছে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে যাই। জিয়া ভাইয়ের কমিটি নিয়ে কোনো কিছু না। তবে জিয়া ভাইয়ের একটি কমিটি আছে। আমরা বলছি সম্ভব হলে জিয়া ভাইয়ের স্কুলের কমিটির বিষয়টা দেখবেন।

বোর্ডের সহকারী সচিব এবং কর্মচারী সংঘের সভাপতি শহিদুল ইসলাম বলেন, বরিশাল নগরীর এ ওয়াহেদ বিদ্যালয়ের যে কমিটি দেওয়া হয়েছে, তাতে যার নাম প্রথমে রাখা হয়েছে তিনি ফ্যাসিস্ট। এ জন্য ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা গিয়ে বলেছেন, ফ্যাসিস্ট কাউকে রাখা যাবে না। জিয়া ভাইকে রাখতে হবে। তিনি দাবি করেন, অবরুদ্ধ নয়; অনেক মানুষ ছিল, তাই এমন মনে হয়েছে।

এ ঘটনার বিষয়ে রাতে অধ্যাপক ইউনুস আলী সিদ্দিকী সাংবাদিকদের বলেন, এ ওয়াহেদ বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের আহ্বায়ক কমিটির প্যানেলে ২ নম্বরে রাখা হয়েছে বিএনপি নেতা জিয়াকে। ১ নম্বরে রাখা হয়েছে বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আ. ছালামের স্ত্রীকে।

বোর্ড চেয়ারম্যান বলেন, একদল কর্মী জানতে চেয়েছে, কেন জিয়া ভাইয়ের নাম ২ নম্বরে গেল? শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কে আহ্বায়ক হবেন, তা বিভাগীয় কমিশনার নির্ধারণ করে তালিকা পাঠান। এখানে আমাদের হাতে কিছুই নেই।

এ ব্যাপারে বরিশাল মহানগর বিএনপির সদস্যসচিব জিয়া উদ্দিন সিকদার বলেন, আমি ঢাকায় আছি। যারা বোর্ড চেয়ারম্যানের কাছে গিয়েছিল তাদের আমি চিনি না।

  • অবরুদ্ধ
  • চেয়ারম্যান
  • ছাত্রদল-স্বেচ্ছাসেবক দল
  • নেতা
  • বরিশাল শিক্ষা বোর্ড
  • #