প্রকাশ্য কর্মকাণ্ডে নিষিদ্ধ হিযবুত তাহরীরের পাঁয়তারা, পুলিশের কঠোর হুঁশিয়ারি

: যথাসময় ডেস্ক
প্রকাশ: ৫ দিন আগে

আওয়ামী লীগ আমলে নিষিদ্ধ হিযবুত তাহরীর শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর আবার এসেছে প্রকাশ্যে। তবে সংগঠনটি এখনও নিষিদ্ধ রয়েছে জানিয়ে পুলিশ হুঁশিয়ার করেছে, হিযবুত তাহরীরের নামে কোনও কর্মসূচি পালন করতে দেওয়া হবে না।

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সাত মাস গড়ানোর পর ঢাকা মহানগর পুলিশ বৃহস্পতিবার গণমাধ্যমে সংবাদ বিজ্ঞপ্তি পাঠিয়ে হিযবুত তাহরীরের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানের কথা জানায়।

জুলাই অভ্যুত্থানের পর প্রকাশ্যে আসা হিযবুত তাহরীর শুক্রবার ‘মার্চ ফর খিলাফত’ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। ঢাকার বায়তুল মোকাররমের উত্তর ফটকে জুমার পর সেই কর্মসূচি সফল করতে প্রচারও চালাচ্ছে। তার একদিন আগেই ঢাকা মহানগর পুলিশ সেই সমাবেশ করতে না দেওয়ার বার্তা দিল।

ইসলামী খেলাফত প্রতিষ্ঠার স্লোগান তুলে সংগঠিত হিযবুত তাহরীর একটি আন্তর্জাতিক সংগঠন। বাংলাদেশে ২০০০ সালের দিকে সংগঠনটির তৎপরতা শুরু হয়।

উগ্রবাদী তৎপরতার কারণে মুসলমানপ্রধান বিভিন্ন দেশে নিষিদ্ধ হওয়ার পর ২০০৯ সালে বাংলাদেশেও হিযবুত তাহরীরকে নিষিদ্ধ করা হয়। তখন আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায়।

এরপর বিভিন্ন সময় পোস্টার আর অনলাইনে প্রচারেই সীমিত ছিল সংগঠনটির কার্যক্রম। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর সংগঠনটি প্রকাশ্য হয়।

গত ৭ আগস্ট সংসদ ভবনের সামনে ব্যানার-ফেস্টুন নিয়ে সমাবেশ করে তারা। তাদের বেআইনিভাবে নিষিদ্ধ করা হয়েছিল দাবি করে সংবাদ সম্মেলনে আসে সংগঠনটির নেতারা।

সেই সমাবেশ আয়োজনের সময় হিযবুত তাহরীরের মিডিয়া সমন্বয়ক ইমতিয়াজ সেলিম বলেছিলেন, তারা কোনো জঙ্গিবাদী বা সন্ত্রাসী সংগঠন নয়। শেখ হাসিনা সরকার উৎখাতের আন্দোলনে হিযবুত তাহরীরের কর্মীরাও মাঠে ছিল বলে দাবি করেন তিনি। তখন হিযবুতের তৎপরতা নিয়ে আলোচনা উঠলেও পুলিশ তথা অন্তর্বর্তী সরকারের কোনও পদক্ষেপ দেখা যায়নি।

নতুন করে সমাবেশ ডাকার পর বৃহস্পতিবার ডিএমপির সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বে-আইনি সংগঠন হিসাবে হিযবুতের যেকোনো তৎপরতা প্রতিরোধের ঘোষণা দেওয়া হয়। হিযবুত তাহরীর সভা, সমাবেশসহ যেকোনো প্রচারণামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করলে পুলিশ ‘প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা’ নেবে বলে হুঁশিয়ার করা হয় বিজ্ঞপ্তিতে।

বিভিন্ন আরব দেশ, তুরস্ক, পাকিস্তান, যুক্তরাজ্য, জার্মানিতে হিযবুত তাহরীর নিষিদ্ধ।

#