বাকপ্রতিবন্ধী এক কিশোরীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করেছে দুই বৃদ্ধ। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে জাহাঙ্গীর আলম নামের (৫২) একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার সকালে কুমিল্লার লালমাইয়ে উপজেলার বাগমারা দক্ষিণ ইউনিয়নের পোহনকুচা গ্রামের একটি নির্মাণাধীন ভবনে এ ঘটনা ঘটে। ওইদিন রাতে ভুক্তভোগী ওই কিশোরীর বাবা বাদী হয়ে লালমাই থানায় দুই বৃদ্ধের বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা দায়ের করেন। গ্রেপ্তারকৃত জাহাঙ্গীর পোহনকুচা গ্রামের মৃত আরব আলীর ছেলে। এ মামলায় অপর আসামি একই এলাকার মৃত রজব আলীর ছেলে বাহার মিয়া (৫০)। শুক্রবার রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করেন লালমাই থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ আলম।
ভুক্তভোগী কিশোরীর খালা বলেন, আমার বোনের মেয়ে শারীরিক ও বাক প্রতিবন্ধী। সে প্রতিদিন সকালে বাড়ির পাশের রাস্তায় হাঁটাহাঁটি করে। বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৭টার পরে বাড়ি থেকে বের হলে জাহাঙ্গীর তাকে সড়কের পাশের দুলালের দোকানে নিয়ে চিপস কিনে দেন। পরে তাকে একটি নির্মীয়মাণ ভবনের লেবার রুমে নিয়ে যান। বিষয়টি জানতে পেরে আমি সকাল ৮টায় ওই লেবার রুমে গিয়ে দেখি জাহাঙ্গীর ও বাহার মিয়া প্রতিবন্ধীকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করছেন। অপ্রীতিকর অবস্থায় দেখে আমি বাহার মিয়াকে চড়-থাপ্পড় দিই। তখন জাহাঙ্গীর ও বাহার মিয়া পালিয়ে যায়।
ভুক্তভোগী কিশোরীর বাবা বলেন, আমার মেয়ে শারীরিক ও বাকপ্রতিবন্ধী। জাহাঙ্গীর ও বাহার আমার মেয়েকে চিপসের লোভ দেখিয়ে ধর্ষণ করেছে। আমি এই দুই ধর্ষকের উপযুক্ত শাস্তি দাবি জানাই।
ওসি শাহ আলম বলেন, প্রতিবন্ধী কিশোরীকে ধর্ষণের ঘটনায় ভুক্তভোগীর বাবা থানায় মামলা করেছেন। এ ঘটনায় জড়িত জাহাঙ্গীরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। দুপুরে তাকে আদালতে তোলা হলে আদালত তাকে কারাগারে প্রেরণ করেন। অপর আসামি বাহারকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।