নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে শিশুসন্তানকে জিম্মি করে এক গৃহবধূকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে। গত বুধবার (১২ মার্চ) সন্ধ্যায় (নাসিক) ৯ নম্বর ওয়ার্ডের জালকুড়ি উত্তরপাড়া পানি ট্যাংক এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী ওই গৃহবধূর স্বামী বাদী হয়ে আজ বৃহস্পতিবার রাতে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন।
অভিযুক্ত ব্যক্তিরা হলেন জালকুড়ি উত্তরপাড়া এলাকার বাসিন্দা আরিফ (৩২), ডালিম (৩৫) এবং তাঁদের সহযোগী বেলাল (৩৫)।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, অভিযুক্ত আরিফ ও ডালিম ভুক্তভোগীরা যে বাড়িতে ভাড়াটে হিসেবে বসবাস করে আসছেন, তাঁরাও সেই একই বাসার ভাড়াটে। উভয়ে এক বাড়িতে থাকার সুবাদে অভিযুক্ত ব্যক্তিদের সঙ্গে বাদীর ভালো পরিচয় রয়েছে। সবশেষ গতকাল বুধবার সন্ধ্যা পৌনে ৬টার সময় অভিযুক্ত আরিফ ইফতারি দেওয়ার জন্য বাদীর ঘরের দরজায় টোকা দেন। সে সময় বাদীর স্ত্রী দরজা খুলে ইফতারি নিয়ে আবার দরজা লাগিয়ে দেন। পরবর্তী সময়ে ইফতারের পর আবারও অভিযুক্ত আরিফ দরজায় নক করলে ভুক্তভোগী গৃহবধূ দরজা খুলে দেন এবং আরিফ ভুক্তভোগীর তিন মাসের শিশুসন্তানকে কোলে নেওয়ার বাহানায় ঘরে ঢোকে দ্রুত দরজা বন্ধ করে দেন। একপর্যায়ে ফাঁকা ঘরে ওই গৃহবধূকে জোরপূর্বক ধর্ষণের চেষ্টা চালান।
পরে রক্ষা পেতে ওই নারী ডাক-চিৎকার শুরু করলে অভিযুক্ত আরিফ শিশুসন্তানটিকে ছিনিয়ে নিয়ে তাঁর ঘরে চলে যান। এরপর শিশুসন্তানকে সুস্থ ফেরত পেতে হলে ওই গৃহবধূকে তাঁর সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্কে জড়াতে হবে বলে জানান।
অভিযোগপত্রে আরও ছিল, তখন তাৎক্ষণিক আতঙ্কিত অবস্থায় ভুক্তভোগী তাঁর স্বামীকে ফোন করে ঘটনার বিস্তারিত জানান। পরে স্বামী দ্রুত তার এক সহকর্মীকে নিয়ে বাসায় আসেন এবং অভিযুক্ত আরিফের ঘর থেকে শিশুসন্তানকে উদ্ধার করেন। শিশুটিকে তাঁর বাবা উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়ার পর অভিযুক্ত আরিফ, ডালিম ও বেলালসহ আরও ১০-১২ ব্যক্তিকে ফোন করে এনে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ না করার জন্য নানা ধরনের হুমকি-ধমকি প্রদর্শন করেন।
এ বিষয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শাহিনূর আলম বলেন, একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। আমরা বিষয়টি তদন্ত করে দেখছি। এ বিষয়ে পরবর্তী আইনানুগ কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।