তরুণীকে সেবাদাস হিসেবে ব্যবহার : জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের বিচারক দোষী সাব্যস্ত

: আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ৬ ঘন্টা আগে
ছবি : লিডিয়া মুগাম্বে

উগান্ডার অসহায় এক তরুণীকে বিনাপারিশ্রমিকে দাসের মতো কাজ করতে বাধ্য করানোর অভিযোগে জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের এক বিচারক দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন। গত বৃহস্পতিবার যুক্তরাজ্যের অক্সফোর্ড ক্রাউন আদালতে তাকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স ও সংবাদমাধ্যম গার্ডিয়ান এই এ বিষয় নিয়ে সংবাদ প্রকাশ করেছে।

গণমাধ্যমে বলা হয়, জাতিসংঘের বিচারক হিসবে কাজ করা লিডিয়া মুগাম্বে উগান্ডার হাইকোর্টের একজন বিচারক। ২০২২ সালে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে পিএইচডি করার সময় উগান্ডার এক তরুণীকে যুক্তরাজ্যে সঙ্গে নিয়ে আসেন তিনি। এরপর মুগাম্বে ওই তরুণীকে দাস হিসেবে ঘরের কাজ করতে বাধ্য করেন। কাজ করালেও তিনি তরুণীকে কোনও পারিশ্রমিক দিতেন না। সারাদিন কাজ করার পাশাপাশি তার বাচ্চাদেরও দেখাশোনা করতে বাধ্য করতেন এবং বিভিন্ন সময় মনমতো কাজ না করলে নির্যাতনও করতেন।

উগান্ডা হাইকোর্টের বিচারক মুগাম্বেকে ২০২৩ সালে জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের বিচারক হিসেবে নিযুক্ত করা হয়। রুয়া-ার ও সাবেক যুগোস্লাবিয়ায় সংঘটিত যুদ্ধাপরাধ সম্পর্কিত ট্রাইব্যুনালে দায়িত্ব পালন করেন তিনি।

রাষ্ট্রপক্ষের প্রসিকিউটর ক্যারোলিন হাউহে বিচারকদের জানান, লিডিয়া মুগাম্বে ভুক্তভোগীকে শ্রম শোষণ ও নির্যাতন করেছেন। যথাযথ বেতনের অধিকার সম্পর্কে অজ্ঞতার সুযোগ নিয়ে তার সঙ্গে প্রতারণা করেছেন।

ওই তরুণী আদালতকে জানান, তাকে এক প্রকার বন্দী জীবনে রাখা হয়েছিল। অন্য কোথাও কাজে যাওয়ার সুযোগ ছিলনা। তবে মুগাম্বে নির্যাতনের দাবি অস্বীকার করেছেন।

প্রসিকিউটর হাউহে আদালতকে বলেন, উগান্ডা থেকে যুক্তরাজ্যে ওই তরুনীকে নিয়ে এসে তিনি দাসের মতো কাজ করিয়েছেন। তাকে এক প্রকার দাসত্বের জীবন দিয়েছিলেন তিনি। নিজের কাজ বেছে নেওয়ার স্বাধীনতা ও পরিচয়পত্র নিয়ন্ত্রণের স্বাধীনতা থেকেও বঞ্চিত হয়েছিলেন তিনি।

এদিকে বিচারকেরা রাষ্ট্রপক্ষের এই মামলাটি আমলে নিয়েছেন। লিডিয়া মুগাম্বেকে যুক্তরাজ্যের অভিবাসন আইন লঙ্ঘনের ষড়যন্ত্র ও জোরপূর্বক কাজ করতে বাধ্য করার অভিযোগসহ কয়েকটি অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে। আগামী ২ মে মুগাম্বের সাজা ঘোষণা করা হবে।

  • জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল
  • বিচারক
  • লিডিয়া মুগাম্বে
  • #