‘সন্ত্রাসী’ এজাজের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন, শরীরে আঘাতের চিহ্ন

: যথাসময় ডেস্ক
প্রকাশ: ২ ঘন্টা আগে

ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢাকেম) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যাওয়া হেজাজ বিন আলিম ওরফে এজাজের (৩৭) ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। রবিবার (১৬ মার্চ) দুপুরে ঢামেক হাসপাতালের মর্গে এ ময়নাতদন্ত করা হয়। পরে মোহাম্মদপুর থানা পুলিশ মরদেহ তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করে।

নিহত এজাজের গ্রামের বাড়ি টাঙ্গাইল জেলার সদর থানা এলাকায়। তিনি ধানমন্ডি শেরেবাংলা রোডের একটি বাসায় থাকতেন। তার বাবার নাম শাহ আলম খান।

মৃত এজাজের ভাই আবিদ বিন আলম জানান, ময়নাতদন্ত শেষে তিনি ভাইয়ের মরদেহ গ্রহণ করেছেন। পরে জানাজা শেষে তাকে দাফনের জন্য ধানমন্ডিতে নিয়ে যাওয়া হয়।

ঢাকা জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. রৌশন আহমেদের উপস্থিতিতে তৈরি সুরতহাল প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, ১১ মার্চ সেনাবাহিনীর একটি দল এজাজকে গ্রেফতার করে মোহাম্মদপুর থানায় হস্তান্তর করে। সেসময় তিনি অসুস্থ ছিলেন বলে দুবার প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। পরদিন আদালতে হাজির করা হলে তিনি জামিন পান।

জামিনের পরদিন তিনি জাপান-বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ হাসপাতালে ভর্তি হন। অবস্থার অবনতি হলে ১৫ মার্চ (শনিবার) ভোর সকালে তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের নেফ্রোলজি বিভাগে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৫ মার্চ রাত ৮টার দিকে তিনি মারা যান।

ময়নাতদন্তের পর্যবেক্ষণ

সুরতহাল প্রতিবেদনে দেখা গেছে, গলার ডান পাশে সিভি লাইন, যা ব্যান্ডেজ করা ছিল। বুক ও পেটের মাঝামাঝি পুরোনো দাগ রয়েছে। পিঠে রক্ত জমাট বাঁধা লাল-সাদা দাগ ছিল। দুই হাতের কব্জিতে হ্যান্ডকাফ লাগানোর দাগ ছিল। ডান ও বাম উরুর পেছন থেকে নিতম্ব পর্যন্ত কালশিরার দাগ ছিল। পা সামান্য ফোলা ছিল।

ময়নাতদন্ত শেষে মোহাম্মদপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) শেখ কাদের আহমেদ জানান, মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান জানিয়েছেন, এজাজের অবস্থান নিশ্চিত হয়ে মোহাম্মদপুর থানা পুলিশ ও ডিবির দল জাপান-বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ হাসপাতালে যায়। সেখান থেকে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢামেক হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। ১৫ মার্চ সন্ধ্যায় তিনি চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন। তাকে ডিবি কম্পাউন্ড বা থানা পুলিশের কোনও স্থাপনায় আনা হয়নি।

ময়নাতদন্তের চূড়ান্ত প্রতিবেদন ও তদন্তের ভিত্তিতে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে বলে জানিয়েছেন তদন্ত সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।

  • এজাজ
  • ময়নাতদন্ত
  • সন্ত্রাসী
  • #