বিদেশি ঋণ পরিশোধ বেড়েছে ৩০ শতাংশ, অর্থছাড়ের সঙ্গে প্রতিশ্রুতিতেও ভাটা

: যথাসময় ডেস্ক
প্রকাশ: ৬ দিন আগে

বিদেশি ঋণের অর্থ ছাড়েও ধীরগতি; আগের কয়েক মাসের ধারায় ফেব্রুয়ারি শেষেও সরকারের ঋণ নেওয়ার চেয়ে সুদ ও আসল পরিশোধ করতে হয়েছে বেশি। চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জুলাই থেকে ফেব্রুয়ারি সময়ে উন্নয়ন প্রকল্পে বিদেশি অর্থায়নের পরিমাণ কমেছে ১৭ শতাংশের বেশি। অপরদিকে এ সময়ে পুরনো ঋণের পরিশোধ বেড়েছে ৩০ শতাংশের মতো।

বাজেট ঘাটতি কমিয়ে আনতে সরকার এরইমধ্যে প্রকল্প সংখ্যায় কাটছাঁট ও বরাদ্দ যাচাই বাছাই করে অর্থছাড় করতে শুরু করেছে। এতে অনেক প্রকল্পের বাস্তবায়ন ব্যয় কমেছে। এ কারণে বিদেশি অর্থায়নও কমেছে বলে তুলে ধরেন অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) কর্মকর্তারা।

সোমবার ইআরডি প্রকাশিত বাংলাদেশের বৈদেশিক ঋণের সবশেষ প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত ৮ মাসে প্রকল্প ঋণ ও অনুদান বাবদ বিদেশি অর্থ ছাড় হয়েছে ৪১৩ কোটি ৪৪ লাখ ডলার। আগের অর্থবছরের একই সময়ে যা ছিল ৪৯৯ কোটি ৭৫ লাখ ডলার বা ১৭ দশমিক ২৭ শতাংশ কম।

অপরদিকে সরকারের বিদেশি ঋণ নেওয়ার পরিমাণ কমলেও পুরনো ঋণ পরিশোধ প্রায় ৩০ শতাংশ বেড়ে হয়েছে ২৬৩ কোটি ৬৮ লাখ ডলার। স্থানীয় মুদ্রায় তা ৩১ হাজার ৬৫৯ কোটি ৪২ লাখ টাকা। পরিশোধিত অর্থের মধ্যে আসল হিসেবে ১৬৯ কোটি ২৪ লাখ ডলার এবং সুদ ব্যয় ছিল ৯৪ কোটি ৪০ লাখ ডলার।

আগের অর্থবছরের ৮ মাসে সরকারের বৈদেশিক দায় পরিশোধ ছিল ২০৩ কোটি ডলার। স্থানীয় মুদ্রায় যা ২২ হাজার ৩২৪ কোটি ৫৫ লাখ টাকা।

অন্যদিকে উন্নয়ন সহযোগী সংস্থার ঋণ দেওয়ার আগ্রহ দেখালেও ঋণ চুক্তি হয়েছে কম; অর্থাৎ প্রতিশ্রুতির অঙ্ক কমেছে গত ৮ মাসে।

হালনাগাদ তথ্য বলছে, গত জুলাই-ফেব্রুয়ারি সময়ে উন্নয়ন সহযোগীদের সঙ্গে অর্থ ছাড়ে চুক্তি হয় ২৩৫ কোটি ৩৩ লাখ ডলারের। চুক্তির অপেক্ষায় (পাইপলাইনে) রয়েছে ৯ বিলিয়ন ১৬ কোটি বা ৯১৬ কোটি ২০ লাখ ডলার।

আগের অর্থবছরের এই সময়ে ঋণ চুক্তি বা প্রতিশ্রুতি ছিল ৭২০ কোটি ১১ লাখ ডলারের। সে হিসাবে অঙ্ক কমেছে ৪৮৪ কোটি ৭৮ লাখ ডলার বা ৬৭ দশমিক ৩২ শতাংশ।

অপরদিকে গত ৮ মাসে উন্নয়ন সহযোগীরা খাদ্য সহায়তা বাবদ অর্থছাড় করেছে আড়াই কোটি ডলার। আগের অর্থবছরের ৮ মাসে এর পরিমাণ ছিল এক কোটি ডলার। এ খাতে বেড়েছে এক কোটি ৪৫ লাখ ডলার বা ১৩৮ শতাংশ।

  • পরিশোধ
  • প্রতিশ্রুতি
  • বিদেশি ঋণ
  • #