নেছারাবাদে গণহত্যা দিবসের আলোচনা সভায় ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দিয়ে ২৬ মার্চের স্বাধীনতা দিবস অনুষ্ঠানে স্থানীয় এক সাংবাদিকের তোপের মুখে পড়েছেন উপজেলা সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার কাজী সাখাওয়াত হেসেন ।
২৬ মার্চ সকালে উপজেলার সরকারি স্বরূপকাঠি পাইলট মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে উপজেলা প্রশাসন কর্তৃক আয়োজিত মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসে এ ঘটনা ঘটেছে। অনুষ্ঠানের দিন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, সহকারী কমিশনার(ভূমি)সহ মাঠে উপস্থিত উপজেলা প্রশাসনের বিভিন্ন কর্মকর্তার সামনে এ নিয়ে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। এদিকে স্থানীয় সাংবাদিক গোলাম মোস্তফার উত্তেজিত আচরণ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমমে ছড়িয়ে পড়েছে।
জানা গেছে, ২৫ মার্চ গণহত্যা দিবস উপলক্ষ্যে ওইদিন সকালে নেছারাবাদ উপজেলা প্রশাসন কর্তৃক এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। আলোচনা সভায় উপজেলার বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দসহ উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা, প্রশাসনের লোক উপস্থিত ছিলেন। এ সময় সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার কাজী সাখাওয়াত হোসেন নিজ বক্তব্যে শেষে ‘জয় বাংলা’ শ্লোগান দেন। মুহূর্তে সেখানে উপস্থিত কিছু লোকেরা এর বিরোধিতা করলে তখনই ক্ষমা চেয়ে নেন সাখাওয়াত হোসেন। পরদিন ২৬ মার্চ উপজেলা প্রশাসন কর্তৃক আয়োজিত মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসে ওই মুক্তিযোদ্ধাসহ কয়েকজন মুক্তিযোদ্ধা মিলে উপজেলার নবাগত ইউএনও মো. জাহিদুল ইসলাম-কে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান। এ সময় স্থানীয় সাংবাদিক গোলাম মোস্তফা ২৫ মার্চের আলোচনা সভায় ‘জয় বাংলা’ বলার বিষয়টি নিয়ে কাজী সাখাওয়াত হোসেনে ওপর উত্তেজিত হয়ে ওঠেন। পরে ইউএনও মো. জাহিদুল ইসলাম মুক্তিযোদ্ধাদের পুরস্কার দিয়ে অনুষ্ঠান শেষ করেন।
এ বিষয়ে মুক্তিযোদ্ধা কাজী সাখাওয়াত হোসেন বলেন, ২৫ মার্চ গণহত্যা দিবসের আলোচনা সভায় ‘জয় বাংলা’ বলেছিলাম। যেটা আমার মিস হয়ে গেছে। তাহলে জয় বাংলা স্লোগান বলা কি অপরাধ এমন প্রশ্ন করে পুনরায় জানতে চাইলে তিনি বলেন, সব পরিবেশে ‘জয় বাংলা’ বলা ঠিক না। পরিবেশ বুজে সবকিছু বলতে হয়। তিনি বলেন, আমি ওই দিন জয় বাংলা বলার কারণে বুধবার (২৬ মার্চ) স্থানীয় সাংবাদিক গোলাম মোস্তফা আমার উপর একটু উত্তেজিত হয়েছিল।
এ বিষয়ে সাংবাদিক গোলাম মোস্তফা লাইভে এসে বলেন, ‘জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু’ এই জাতীয় স্লোগানটি হাইকোর্ট রায়ের মাধ্যমে বাতিল হয়েছে সেটা কেন আবার মুক্তিযোদ্ধারা বলবে আমি তার-ই প্রতিবাদ করেছি। একটু উত্তেজিত হয়েছিলাম।
নেছারাবাদ উপজেলা নির্বাহী (ইউএনও) জাহিদুল ইসলাম জানান, মূলত ২৫ মার্চ গণহত্যা দিবস উপলক্ষ্যে উপজেলা অডিটরিয়ামে একটি আলোচনা সভার অনুষ্ঠানে মুক্তিযোদ্ধা কাজী সাখাওয়াত হোসেন ‘জয়বাংলা’ বলেছিলেন। তখন অনেকে তার বিরোধিতা করে।