বরিশালে বালুমহালের ইজারার দরপত্র জমাদানে বাধা এবং এক সেনা সদস্যকে অপহরণের ঘটনায় বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের ৮ নেতার পদ স্থগিত করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৭ মার্চ) বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবীর রিজভী স্বাক্ষরিত এক পত্রে এ তথ্য জানা গেছে। ওই পত্রে বরিশাল মহানগর ও উত্তর জেলা বিএনপিকে অবহিত করা হয়েছে।
এদিকে গ্রেপ্তারের এক দিনের মাথায় প্রভাব খাটিয়ে হিজলা বিএনপির সদস্য সচিব আজ বৃহস্পতিবার জামিনে বের হয়ে গেছেন বলে খবর পাওয়া গেছে। এ ছাড়া ছাত্রদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের কয়েকজন শীর্ষ নেতা ধরা ছোঁয়ার বাইরে থাকায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তৃনমূল নেতারা। এর মধ্যে রয়েছেন মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক মশিউর রহমান মঞ্জু ও জেলা ছাত্রদলের সভাপতি মাহফুজুল আলম মিঠু।
পদ স্থগিত করা নেতারা হচ্ছেন জেলা ছাত্রদলের সহসভাপতি নূর হোসেন সুজন, হিজলা উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য মো. ইমরান খন্দকার, হিজলা থানা বিএনপির সদস্য সচিব অ্যাড. দেওয়ান মো. মনির হোসেন, বরিশাল মহানগর যুবদলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাসুদ রাঢ়ী, মহানগর ছাত্রদলের সহসভাপতি মো. রুবেল, জেলা যুবদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বেলায়েত হোসেন, স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা মো. জাহিদ এবং বরিশাল মহানগর মহিলা দলের সাংগঠনিক সম্পাদক ফরিদা বেগম।
অ্যাড. রুহুল কবির রিজভীর দেওয়া পত্রে উল্লেখ করা হয়েছে বরিশালে বালুমহালের ইজারার দরপত্র জমাদানে বাধা এবং এক সেনা সদস্যকে অপহরণ করে মারধর ও মালামাল ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগে বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের ৮ জনের পদ ৩ মাসের জন্য স্থগিত করা হলো।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বালুমহাল ইজারায় বাধা দানে জেলা ও মহানগর ছাত্রদল এবং স্বেচ্ছাসেবক দলের কয়েকজন শীর্ষ নেতা প্রকাশ্যে নেতৃত্ব দেয়। কিন্তু রহস্যজনক কারণে তাদের বিরুদ্ধে বিএনপি কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।
ছাত্রদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের দায়িত্বশীল দুই নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, কেবল বালুমাহল নয়, সিটি করপোরেশন, জেলা পরিষদসহ বিভিন্ন দপ্তরে টেন্ডারবাজী করে এমন কয়েকজন ওই মামলার আসামিও। অথচ তাদের বিরুদ্ধে কোনো শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়নি দল। তারাই দলের ভাবমূর্তি নষ্ট করে ৫ আগস্টের পর আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ হয়েছে। তাদের জন্যই দলে ভোটার সংখ্যাও কমছে বলে ওই ২ নেতা ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
বরিশাল নগর বিএনপির আহ্বায়ক মনিরুজ্জামান ফারুক বলেন, দল তাদের পদ স্থগিত করে সঠিক কাজ করেছে। যারা দলের সিদ্ধান্ত অমান্য করে চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি করে তারা দলে থাকতে পারবে না। ৩ মাস না, ওদের পদ আজীবনের জন্য স্থগিত করা উচিত।
এসব ঘটনায় আরো কেউ জড়িত থাকলে তাদের বিষয় তথ্য প্রকাশ করার আহ্বান জানান তিনি।