সম্পূর্ণ বকেয়া না পেলে ঈদের দিনও শ্রম ভবনের সামনে অবস্থান করার ঘোষণা দিয়েছেন আন্দোলনরত শ্রমিকরা। টিএনজেড গ্রুপের শ্রমিকদের ১৭ কোটি টাকা পাওনার বিপরীতে তিন কোটি টাকা নিলেও শ্রমিকদের কোনও কাজে আসবে না। বেতন-বোনাসের জন্য আপাতত ৩ কোটি টাকার ব্যবস্থা করা হবে বলে জানিয়েছেন শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব এ এইচ এম সফিকুজ্জামান। এই প্রস্তাব তৎক্ষণাৎ প্রত্যাখ্যান করেন শ্রমিকরা।
শনিবার (২৯ মার্চ) বিকালে শ্রম ভবনে আন্দোলনরত শ্রমিক প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক শেষে শ্রম সচিব বলেন, আপাতত ২ কোটি টাকার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। আগামী ৮ এপ্রিল শ্রমিক নেতাদের সঙ্গে আবারও বৈঠক হবে। মে দিবসের আগেই পুরোপুরি সমাধান করা হবে। সে পর্যন্ত টিএনজেড গ্রুপের পরিচালক শাহীনসহ তিন কর্মকর্তা শ্রম অধিদফতরের হেফাজতে থাকবেন।
এর আগে প্রায় তিন ঘণ্টার বৈঠকের পর তিনি ঘোষণা দিয়েছিলেন মালিকপক্ষ মেশিন বিক্রি করে দুই কোটি টাকা দেবে। বৈঠকের পর প্রায় আধা ঘণ্টা শ্রম ভবনে অবরুদ্ধ থাকার পর শ্রমিক নেতাদের আশ্বাসে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পাহারায় নিচে নেমে আসেন তিনি। এ সময় গাড়িতে উঠতে চাইলে শ্রমিকরা তাকে ঘেরাও করে বিক্ষোভ করতে থাকেন। পরবর্তী সময়ে সেখানে দাঁড়িয়ে তিনি মোট তিন কোটি টাকা পরিশোধের কথা জানান। তাও মানেনি সাধারণ শ্রমিকরা। এ সময় শ্রমিক নেতারা সচিবকে গাড়িতে উঠিয়ে দেন।
পরবর্তী সময়ে এ্যাপারেল প্লাস ইকোর শ্রমিক প্রতিনিধি শহিদুল ইসলাম বলেন, ঈদের আগেই সব টাকা পরিশোধ করতে হবে। কারণ আমাদের ১৭ কোটি টাকা পাওনার বিপরীতে তিন কোটি টাকা নিলেও শ্রমিকদের কোনও কাজে আসবে না। কারণ তিন মাস বেতন না পাওয়ায় অনেকে মানবেতর জীবনযাপন করছে। অনেকে দেনার দায়ে জর্জরিত। তাই ঈদের আগে অন্তত একটি বেতন ও একটি বোনাস না দিলে আন্দোলন অব্যাহত থাকবে।
প্রসঙ্গত, বকেয়া বেতন বোনাসের দাবিতে গত ২৩ মার্চ থেকে শ্রম ভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন টিএনজেড গ্রুপের তিনটি কারখানার শ্রমিকরা