চট্টগ্রামের পটিয়ায় সেফটিক ট্যাংক থেকে নুরুল হক (৫৫) নামে এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শুক্রবার (২৮ মার্চ) বিকেলে উপজেলার হাঈদগাঁও ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডের কোরবান আলীর বাড়ি থেকে নিহতের নিজ বাড়ির সেফটিক ট্যাংক থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। নিহত নুরুল হক পেশায় একজন স্ক্র্যাপ ব্যবসায়ী ছিলেন বলে জানা গেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নুরুল হকের সঙ্গে তার ছেলে বাবলুর পারিবারিক কলহ চলছিল। এর জের ধরে নিহতের স্ত্রী ও ছেলের বউ ঈদ করার জন্য তাদের গ্রামের বাড়িতে চলে যান। এদিকে গত ২-৩ দিন ধরে নুরুল হকের ঘরের সেপটিক ট্যাংক থেকে গন্ধ বের হচ্ছিল। সেই গন্ধের সূত্র ধরে তার বসতঘরের বাইরে বাথরুমের সেফটিক ট্যাংক চেক করতে গিয়ে স্থানীয়রা তার লাশের সন্ধান পান। সাথে সাথে তারা পটিয়া থানা পুলিশকে বিষয়টি জানালে পুলিশ শুক্রবার বিকেলে ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশটি উদ্ধার করে। লাশটি ময়নাতদন্তের জন্য চমেক হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
নিহতের শরীরে পচন ধরে গেছে। ধারণা করা হচ্ছে তাকে মেরে ২-৩ দিন আগে লাশটি সেফটিক ট্যাংকে ফেলে দেওয়া হয়েছে।
এদিকে স্থানীয়রা বলেন, ২-৩ দিন আগে বাবা-ছেলের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয় যা একপর্যায়ে সংঘর্ষে রূপ নেয়।
নিহতের ছেলে বাবলুর মারধরের কারণেই নুরুল হকের মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি তাদের। দুই মাস আগেও বাবলু তার বাবা-মাকে মারধর করেছিলেন। এ ঘটনায় হাইদগাঁও দ ইউনিয়ন পরিষদে বিচারও বসেছিল।
পটিয়া সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আরিফুল ইসলাম বলেন, নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ঘটনার প্রকৃত রহস্য উদঘাটনে পুলিশ কাজ করছে। খুব শিগগিরই অপরাধীদের আইনের আওতায় আনা হবে।