২০ এপ্রিল, ২০২৫
সংস্করণ:
প্রতীকী ছবি
বগুড়ার শেরপুরে প্রতিবেশী প্রবাসীর স্ত্রীর সঙ্গে মোবাইল ফোনে কথা বলা, সুসম্পর্ক স্থাপন ও যাতায়াতের কারণে কাবিল উদ্দিন (৩৪) নামে এক ইলেকট্রিশিয়ানকে ডেকে নিয়ে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। মঙ্গলবার বিকালে শেরপুর থানার ওসি শফিকুল ইসলাম পলাশ জানান, কাবিলের মরদেহ বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ হত্যাকাণ্ডের ব্যাপারে মামলার প্রস্তুতি চলছে, আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান শুরু হয়েছে।
নিহত কাবিল বগুড়ার শেরপুর উপজেলার কুসুম্বি ইউনিয়নের গোসাইবাড়ি স্থানীয়পাড়ায় শাহজাহান আলীর ছেলে।
পুলিশ ও স্বজনরা জানান, কাবিল মোবাইল ফোনে প্রতিবেশী ও আত্মীয় প্রবাসীর স্ত্রীর সঙ্গে কথা বলতেন। ভালো সম্পর্কের কারণে যাতায়াত ছিল। বিষয়টি গৃহবধূর বাবার ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন মেনে নিতে পারেননি। সোমবার রাত ১১টা থেকে রাত ৩টা ১০ মিনিটের মধ্যে কোনো এক সময় গৃহবধূর বাবার ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন পূর্বপরিকল্পনা অনুসারে কাবিলকে ডেকে নিয়ে যান। তাকে শেরপুরের হাটগাড়ি গ্রামে গৃহবধূর বাবার বাড়িতে নিয়ে মারপিট করা হয়। পরে তাকে পাশের হাটগাড়ি ঈদগাহ মাঠের পেছনে নিয়ে মারধর করা হয়। তার কোমর থেকে পা পর্যন্ত ও দুই হাতে জখম করা হয়। এতে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে আবারও গৃহবধূর বাবার বাড়িতে নিয়ে মাথায় পানি ঢালা হয়। অবস্থা বেগতিক দেখে তাকে শেরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসক কাবিল উদ্দিনকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনার পর গৃহবধূর বাবার ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন বাড়ি ছেড়ে চলে গেছেন।
নিহত কাবিল উদ্দিনের স্ত্রী শাপলা খাতুন জানান, তার স্বামী গাড়িদহ বারুনী মেলায় যাওয়ার কথা বলে সোমবার বিকালে বাড়ি থেকে বের হন। মঙ্গলবার সকাল ৮টার দিকে শেরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে স্বামীর মৃতদেহ পেয়েছেন।
তিনি আরও জানান, প্রায় ৭ মাস আগে তার স্বামী মোবাইল ফোনে ভুলক্রমে ওই নারীর মোবাইল ফোনে ‘নাইস’ লেখা মেসেজ দেন। এ নিয়ে তার স্বামী (কাবিল) ভুল স্বীকার করেছিলেন। তার ধারণা, এ ঘটনাকে কেন্দ্র করেই তাকে পরিকল্পিতভাবে ডেকে নিয়ে হত্যা করা হয়েছে। তিনি হত্যাকারীদের গ্রেফতার ও শাস্তি দাবি করেছেন।
শেরপুর থানার ওসি শফিকুল ইসলাম পলাশ জানান, হাটগাড়ি ঈদগাহ মাঠের পেছন থেকে বাঁশের ভাঙা লাঠি, গাছের ভাঙা ডাল, প্লাস্টিকের ভাঙা পাইপ, কাটা নাইলনের রশি এবং গৃহবধূর বাবার বাড়ি থেকে কাবিল উদ্দিনের ব্যবহৃত মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়েছে।
Web Design & Development:
