চট্টগ্রামের চন্দনাইশে ভাগনিকে (খালাতো বোনের মেয়ে) হত্যার পর খালা-খালুকে হত্যা চেষ্টা চালিয়েছে নাজিম উদ্দিন (২৮) নামে এক যুবক। মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) দিবাগত রাত ২টার দিকে চন্দনাইশ পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ড দক্ষিণ গাছবাড়িয়া নয়াপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় পুলিশ নিহতের লাশ উদ্ধার করেছে। আহত দুই জন আবদুল হাকিম (৭৫) ও ফরিদা বেগমকে (৬০) গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে চন্দনাইশ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে চমেক হাসপাতালে পাঠানো হয়। আহতরা নিহতের নানা-নানি।
নিহত আরজু ওই উপজেলার কাঞ্চনাবাদ ইউনিয়নের কাঞ্চননগর গ্রামের আনোয়ার হোসেনের মেয়ে। নাজিম উদ্দিন সাতকানিয়া উপজেলার খাগরিয়া গ্রামের বাসিন্দা। সে মৃত ছৈয়দ আহমেদের ছেলে।
স্থানীয়রা জানান, গত বৃহস্পতিবার উপজেলার দক্ষিণ গাছবাড়িয়া নয়াপাড়া এলাকায় নানার বাড়িতে বেড়াতে যান আরজু আকতার (২০)। আরজু স্থানীয় একটি কলেজের এইচএসসি দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। নাজিমও খালার বাড়িতে বেড়াতে গেলে আরজুর সঙ্গে দেখা হয়। নাজিম বিভিন্ন সময়ে আরজুকে উত্ত্যক্ত করতো। এতে বিরক্ত হতো আরজু।
মঙ্গলবার গভীর রাতে নাজিম পুনরায় তার খালার বাড়িতে যায়। রাত ২টার দিকে আরজুকে ধর্ষণের চেষ্টা করে। এক পর্যায়ে আরজু চিৎকার করলে তার মুখে কাপড় দিয়ে শ্বাসরোধ করে। তার চিৎকার শুনে আরজুর নানা-নানি উদ্ধারে এগিয়ে এলে তাদেরও ছুরিকাঘাতে হত্যার চেষ্টা করে। তাদের চিৎকারে এলাকাবাসী এগিয়ে এলে নাজিম পালিয়ে যায়।
চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে জেলা পুলিশের দায়িত্বরত এসআই আলাউদ্দিন তালুকদার বলেন, চন্দনাইশে ছুরিকাঘাতে আহত দুই জনকে চমেক হাসপাতালে আনা হয়। তারা হলেন- আবদুল হাকিম (৭৫) ও ফরিদা বেগম (৬০)। তাদেরকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। এ ঘটনায় নিহত নারীর লাশ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।
চন্দনাইশ থানার ওসি নুরুজ্জামান জানান, নিহত আরজু আকতার তার নানার বাড়িতে বেড়াতে গিয়েছিল। এরপর নাজিমও বেড়াতে আসে সেখানে। নাজিম সুযোগ বুঝে আরজুকে ধর্ষণের চেষ্টা করে কিংবা ধর্ষণ করেছে। এক পর্যায়ে তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। নানা-নানি দেখে ফেলায় তাদেরকেও কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা করা হয়। তারা দুই জন এখন চমেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। ঘাতক নাজিমকে গ্রেফতারে অভিযান চলছে। নিহত আরজু ধর্ষণের বিষয়টি রিপোর্ট পাওয়ার পর নিশ্চিত হওয়া যাবে।