নাটোরের বড়াইগ্রামে ৭ বছরের শিশুকন্যা জুঁইকে ধর্ষণের পর নির্মমভাবে হত্যার প্রতিবাদে জুঁই এর নিজ গ্রাম উপজেলার গাড়ফা ও অন্যান্য স্থানসহ জেলার বিভিন্ন উপজেলায় বিক্ষোভ সমাবেশ ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার দিনব্যাপী বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন, স্কুল-কলেজের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা নিজ নিজ ব্যানারে এ বিক্ষোভ সমাবেশ ও মানববন্ধনের আয়োজন করে।
প্রতিটি বিক্ষোভ সমাবেশ ও মানববন্ধনে মাগুরার আছিয়ার চেয়েও বড়াইগ্রামের ৭ বছরের জুঁই নির্মমভাবে ধর্ষণ ও হত্যার শিকার হয়েছে বলে উল্লেখ করে নৃশংসতার সাথে জড়িতদের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেফতার ও ফাঁসি দাবি করা হয়। প্রতিটি প্রতিবাদ মিছিল ও মানববন্ধনে শত শত ছাত্র-জনতা সহ সহস্রাধিক বিভিন্ন পেশাজীবীর মানুষ অংশ নেয়।
সকালে নাটোর শহরে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে মিছিল নিয়ে বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে কানাইখালী এসে সমাবেশ ও মানববন্ধন করে। এদিকে বড়াইগ্রাম উপজেলার বনপাড়া বাজারে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও বিভিন্ন সহযোগী অঙ্গ সংগঠন, সামাজিক বিভিন্ন সংগঠন, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী-শিক্ষকরা বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করে।
এছাড়াও নাটোরের গুরুদাসপুর, লালপুর, সিংড়াতেও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে শিক্ষার্থীরা শিশু জুঁই ধর্ষণ ও হত্যার প্রতিবাদে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করে। বড়াইগ্রামের বনপাড়াতে সকালে ও চান্দাই গাড়ফাতে বিকেলে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন জেলা বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের যুগ্ম আহ্বায়ক নুহু ইসলাম ও মাহাবুব সরদার সহ অন্যান্যরা।
বড়াইগ্রাম থানার অফিসার ইনচার্জ মাহবুবুর রহমান জানান, শিশুটির বাড়ি বড়াইগ্রাম উপজেলার হলেও মৃতদেহটি পাওয়া যায় উপজেলার সীমান্তবর্তী চাটমোহর এলাকায়। যার ফলে সংঘটিত অপরাধটির মামলা লিপিবদ্ধ হয়েছে চাটমোহর থানায়। তবে দুর্বৃত্তদের চিহ্নিত ও বিচারের আওতায় আনতে বড়াইগ্রাম থানা পুলিশ যথাযথ ভুমিকা চলমান রেখেছে।
প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে বাড়ি থেকে ৩০০ গজ অদূরে ভুট্টা ক্ষেত থেকে ৭ বছরের বয়সী জুঁই এর মুখাবয়ব এসিডে ঝলসানো ও বিবস্ত্র মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এর আগের দিন সোমবার বিকেল থেকে সে নিখোঁজ হয়। জুঁই ওই গ্রামের মালয়েশিয়া প্রবাসী জাহিরুল ইসলামের মেয়ে ও স্থানীয় একটি হেফজখানার ১ম শ্রেণিতে পড়াশুনা করত।