বরিশালের আগৈলঝাড়া উপজেলার কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থী সিয়াম মোল্লাকে বিচার বহির্ভুত হত্যা ও রাকিব মোল্লাকে গুলি করে আহত করার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী। বুধবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে উপজেলার দক্ষিণ মোল্লাপাড়া গ্রামে এ মানববন্ধন হয়। এরপর স্থানীয়রা একটি বিক্ষোভ মিছিল করে।
র্যাবের গুলিতে হতাহতরা কেউই মাদক কারবারে জড়িত নয় বলে জানিয়েছে স্বজনরা। তাদের মাদক কারবারি সাজিয়ে হত্যা ও গুলিবিদ্ধ করা হয়েছে। এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত শেষে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক বিচার দাবি করেছে বক্তারা।
তবে আগৈলঝাড়া থানার ওসি অয়ালিউল ইসলাম জানিয়েছেন, গত সোমবার (২১ এপ্রিল) সন্ধ্যায় ওই গ্রামে র্যাব-৮ এর একটি সাদা পোশাকধারী দল মাদকবিরোধী অভিযানে যায়। তখন র্যাবের সদস্যদের সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় জড়ায় দুই যুবকসহ বেশ কয়েকজন মাদক ব্যবসায়ী। এর একপর্যায়ে হামলা চালিয়ে দুই র্যাব সদস্যকে আহত করলে আত্মরক্ষার্থে গুলি চালানো হয়।
এসময় বক্তৃতা দেন, সিয়ামের চাচাতো বোন মীম আক্তার, ভাবী নিসাত আক্তার, মামী আসমা বেগম, শিক্ষার্থী নিহারিকা মন্ডল, তামিম গাজী, আলী হোসেন, শাহাদাৎ হাওলাদার, সাহেবেরহাট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সুমনা আক্তার, রবিউল হোসেন, তনু আক্তার, অমিত দাস, রাবেয়া আক্তার, নুসরাত জাহান প্রমুখ।
এ সময় র্যাবের গুলিতে নিহত সিয়াম মোল্লার মা জোসনা বেগম বলেন, আমার ছেলে কারফা আইডিয়াল কলেজের এইচএসসি প্রথমবর্ষের শিক্ষার্থী। কোনো মাদকের সঙ্গে জড়িত না থাকার পরও র্যাব তাকে গুলি করে হত্যা করেছে। আমি আমার ছেলে হত্যার বিচার চাই। গত সোমবার র্যাব সদস্যরা রুবেল মোল্লা ও সৈকত মন্ডল নামে দুইজনকে আটক করে। তখন আটক ব্যক্তিরা ‘ডাকাত’ ‘ডাকাত’ বলে চিৎকার দিলে আমার ছেলে সেখানে যায়। এরপর র্যাব সিয়ামকে গুলি করে হত্যা এবং আমার আত্মীয় চলতি এসএসসি পরীক্ষার্থী রাকিব মোল্লাকে আহত করে।
আগৈলঝাড়া থানার ওসি অয়ালিউল ইসলাম আরও বলেন, এ ঘটনায় গত মঙ্গলবার র্যাব-৮’র ডিএডি শেখ রিয়াজুল ইসলাম বাদী হয়ে সরকারী কাজে বাঁধা ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে আগৈলঝাড়া থানায় পৃথক দুটি মামলা দায়ের করেছে। ওই দুটি মামলায় ২ জন পলাতক ও অজ্ঞাত ১৫ জনকে আসামি করা হয়েছে।