ইশরাক হোসেনের মামলায় নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা নিয়ে এনসিপির উদ্বেগ

:
প্রকাশ: ৪ দিন আগে

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র পদ-সংক্রান্ত মামলা ‘ইশরাক হোসেন বনাম শেখ ফজলে নূর তাপস গং’-এর রায় এবং এ প্রক্রিয়ায় নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। দলটি বলছে, এ মামলার বিচারপ্রক্রিয়া ও কমিশনের আচরণ প্রশ্নবিদ্ধ এবং তা নির্বাচন ব্যবস্থার নিরপেক্ষতা নিয়ে জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করেছে।

মঙ্গলবার দলের যুগ্ম সদস্যসচিব (দপ্তর) সালেহ উদ্দিন সিফাত প্রেরিত এক বিবৃতিতে এ কথা জানিয়েছেন এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী।

নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেন, ‘আমরা লক্ষ করেছি, এই মামলার প্রথম তিন বছর পাঁচ মাসে ৩২টি তারিখ নির্ধারণ করা হলেও ২০২৪ সালের অক্টোবর থেকে মাত্র চার মাসে ১৭টি তারিখ দিয়ে মামলাটি তড়িঘড়ি করে নিষ্পত্তি করা হয়েছে। কিন্তু একই সময়ে অন্যান্য মামলায় এমন দ্রুততার দৃষ্টান্ত নেই।’

নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী অভিযোগ করেন, বিজ্ঞ ট্রাইব্যুনাল মামলার এক পক্ষকে বিশেষ সুবিধা দিয়েছে এবং মামলার গুরুত্বপূর্ণ হলফনামাগুলো বেআইনিভাবে তৃতীয় পক্ষের মাধ্যমে সম্পাদন করে জমা দেওয়া হলেও তা বিচার-বিবেচনা ছাড়া গ্রহণ করা হয়েছে।

নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী আরও বলেন, নির্বাচন কমিশন মামলার বিবাদী হয়েও এতে অংশ নেয়নি, বরং রায়ের পর উচ্চ আদালতে আপিল না করে মামলার বাদীকে সুবিধা দিয়েছে বলে প্রতীয়মান হয়। কমিশনের এমন নিষ্ক্রিয়তা ও পক্ষপাতমূলক আচরণ অত্যন্ত রহস্যজনক ও উদ্বেগজনক।

বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়, রায়ের আগে ১৯ আগস্ট সংশ্লিষ্ট আইনের অধীনে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে প্রশাসক নিয়োগ করা হয়েছিল। ফলে মামলাটি কার্যকারিতার প্রশ্নে পড়ে। এরপরও কমিশনের গেজেট প্রকাশের তড়িঘড়ি সিদ্ধান্তের পেছনে কোনো রাজনৈতিক উদ্দেশ্য ছিল কি না, তা জনসমক্ষে স্পষ্ট করার দাবি জানায় এনসিপি।

দলটির পক্ষ থেকে বলা হয়, ‘একটি স্বাধীন ও নিরপেক্ষ বিচারব্যবস্থা ছাড়া গণতন্ত্র ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা অসম্ভব। আমরা এ ঘটনায় নিরপেক্ষ তদন্ত দাবি করছি এবং আশা করি, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ দ্রুত ও কার্যকর ব্যবস্থা নেবে।’

  • ইশরাক হোসেন
  • উদ্বেগ
  • এনসিপি
  • মামলা. নির্বাচন কমিশন
  • #