২০ কোটি টাকা নিয়ে উধাও এনজিও, মাঠকর্মীর বাড়িতে বিক্ষোভ

: যথাসময় ডেস্ক
প্রকাশ: ১১ ঘন্টা আগে

পিরোজপুরের নেছারাবাদে ‘আলোক শিখা’ নামের একটি সমিতির বিরুদ্ধে দেড় শতাধিক সদস্যদের প্রায় ২০ কোটি টাকার আমানত নিয়ে লাপাত্তা হওয়া অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ কারণে সমিতির মাঠকর্মী শারমিন আক্তারের বাসার সামনে বিক্ষোভ করেছেন ভুক্তভোগী সদস্যরা। শনিবার সকালে উপজেলার শর্ষিনা মাগুরা গ্রামে সদস্যরা জড়ো হয়ে দুই ঘণ্টাব্যাপী অবস্থান নিয়ে মাঠকর্মী শারমিনের বাসার সামনে বিক্ষোভ করেন।

ভুক্তভোগীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ওই সমিতির পরিচালক মো. দেলোয়ার হোসেন বানারীপাড়া উপজেলার ব্রাহ্মণকাঠি গ্রামের বাসিন্দা। তিনি জয়েন্ট স্টক থেকে সনদ নিয়ে ২৩টি শাখা খুলে ওই সমিতি পরিচালাতি করছিলেন। যার মধ্যে নেছারাবাদ উপজেলায় তাঁর তিনটি শাখা রয়েছে। ভুক্তভোগী গ্রাহকদের অভিযোগে তিনি অন্তত উপজেলার ওই তিনটি শাখা থেকে ২০ কোটি টাকা হাতিয়েছেন।

মো. আলতাফ হোসেন নামে এক সাবেক ইউপি সদস্য বলেন, ওই সমিতিতে আমার স্ত্রীও বেশ কিছু টাকা জমা করেছেন। এখন সমিতির পরিচালক দেলোয়ার হোসেন আমাদের গ্রাম থেকে কয়েকজন মাঠকর্মীর মাধ্যমে তিনি অন্তত তিনটি শাখা থেকে ২০ কোটি টাকার আমানত হাতিয়ে আত্মগোপনে গেছেন। আমরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, বিভাগীয় কমিশনারের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে আলোক শিখা এনজিওর অভিযুক্ত মাঠকর্মী শারমিন আক্তার বলেন, আমি টাকা সংগ্রহ করে সমিতিতে জমা দিতাম। আমি কোনো টাকা নেয়নি। এখন মালিক আত্মগোপনে, আমি কী করব?

নেছারাবাদ উপজেলা সমবায় কর্মকর্তা মো. হাসান রকি বলেন, ‘আলোক শিখা এনজিও মূলত বানারীপাড়া উপজেলা থেকে পরিচালনা করে। তবে আলোক শিখা মিলত সমাজ কল্যাণ অধিদপ্তর এবং জয়েন্ট স্টক থেকে সনদপ্রাপ্ত। তাদের কোনো মাইক্রোক্রেডিট রেগুলেটরি অথরিটি থেকে কোনো সনদ নেই। তাই তাদের কোনো ঋণ ও সঞ্চয় কার্যক্রম পরিচালনার বিধান নেই। তারা কীভাবে এসব কার্যক্রম করে সেটা সংশ্লিষ্ট দপ্তরের দেখার বিষয়।

নেছারাবাদ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. জাহিদুল ইসলাম বলেন, এ বিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

  • ২০ কোটি টাকা
  • উধাও এনজিও
  • বিক্ষোভ
  • #