কুয়েট শিক্ষকদের আলটিমেটাম, ক্লাস বর্জন অব্যাহত

: যথাসময় ডেস্ক
প্রকাশ: ৪ দিন আগে

খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুয়েট) ক্লাস বর্জনের সিদ্ধান্তে অটল রয়েছে শিক্ষক সমিতি। সোমবার দ্বিতীয় দিনের ক্লাস বর্জন অব্যাহত ছিল। শিক্ষকদের ওপর হামলা ও লাঞ্ছিতের প্রতিবাদে রোববার ক্লাস বর্জন শুরু করে শিক্ষক সমিতি।সোমবার শিক্ষক সমিতির সাধারণ সভায় পাঁচ দফা দাবিসহ সাত দিনের আলটিমেটাম দেওয়া হয়েছে। সাত দিনের মধ্যে দোষী শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া না হলে শিক্ষা কার্যক্রমের পাশাপাশি প্রশাসনিক কার্যক্রম থেকেও বিরত থাকবে শিক্ষক সমিতি।

জানা যায়, শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের চাপের মুখে কুয়েটের উপাচার্যকে প্রত্যাহার করার পরও অচলাবস্থা কাটেনি। দীর্ঘ প্রায় আড়াই মাস পর কুয়েটের একাডেমিক কার্যক্রম চালু হওয়ার পর আন্দোলনে নামে শিক্ষক সমিতি।

এর আগে শিক্ষার্থীদের ওপর বহিরাগতদের হামলার প্রতিবাদে আন্দোলন করে শিক্ষার্থীরা। এদিকে শিক্ষা কার্যক্রম থেকে শিক্ষকদের বিরত থাকার কারণে কুয়েটে বন্ধ রয়েছে সব ধরনের ক্লাস পরীক্ষা। তাই সব সমস্যার সমাধান করে দ্রুত শিক্ষা কার্যক্রম চালু করার দাবি শিক্ষার্থীদের।

সকাল ১০টায় সংকট নিরসনে কুয়েটের অন্তর্বর্তীকালীন উপাচার্য ড. হযরত আলী শিক্ষার্থীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেছেন। এ সভায় কুয়েটের শিক্ষা কার্যক্রমকে দ্রুত কীভাবে গতিশীল করা যায় এসব বিষয়ে আশ্বস্ত করেন শিক্ষার্থীদের। পাশাপাশি শিক্ষার্থীরা দুপুরে ক্ষমা প্রার্থনা করে একটি চিঠি উপাচার্য বরাবর দিয়েছেন।

অন্যদিকে বেলা ১১টায় প্রায় ২ ঘণ্টার বেশি সময় ধরে বৈঠক করেছেন কুয়েট শিক্ষক সমিতির নেতারা। শিক্ষা কার্যক্রম থেকে বিরত থাকার সিদ্ধান্তে অটল রয়েছেন শিক্ষকরা। তারা বলছেন, ১৮ ফেব্রুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত অনেক শিক্ষকের ওপর হামলা ও লাঞ্ছিত করা হয়।

কুয়েট শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ড. মো. ফারুক হোসেন সাধারণ সভা শেষে সাংবাদিকদের এক প্রেস ব্রিফিংয়ে বলেন, গেল ২৩ এপ্রিল বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের প্রতিনিধি দলের পক্ষপাতিত্বমূলক ভ‚মিকায় শিক্ষকরা মর্মাহত ও নিন্দা জানান।

গত ১৮ ও ১৯ ফেব্রুয়ারি শিক্ষকদের লাঞ্ছিত করার বিষয় সুষ্ঠু তদন্ত করে ব্যবস্থা নিতে সাত কার্য দিবসের আলটিমেটাম, অন্যথায় শিক্ষকরা সব ধরনের প্রশাসনিক কার্যক্রম থেকে বিরত থাকবে।

১৮ ফেব্রুয়ারির পর শিক্ষকদের বিরুদ্ধে সাইবারবুলিং, সামাজিক ও মানসিক অবমাননা ঘটনা তদন্তপূর্বক সর্বোচ্চ শাস্তি দিতে হবে, আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের পাঁচ দফা দাবি দ্রুত বাস্তবায়ন ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কুয়েটবিরোধী অপপ্রচারে লিপ্ত সবাইকে শনাক্ত করা ও আইনের আওতায় নিতে হবে।

এদিকে বিকালে শিক্ষার্থীদের ক্ষমা চাওয়ার বিষয় নিয়ে কুয়েটের অন্তর্বর্তীকালীন উপাচার্য সব শিক্ষকের সঙ্গে আলোচনা করেন। তবে কোনো সুরাহা হয়নি।

  • অব্যাহত
  • আলটিমেটাম
  • কুয়েট
  • ক্লাস বর্জন
  • শিক্ষক
  • #