চট্টগ্রামে র্যাবের কার্যালয় থেকে এক কর্মকর্তার মাথায় গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের উপ-কমিশনার (উত্তর) আমিরুল ইসলাম জানিয়েছেন, বুধবার দুপুরে র্যাব-৭ এর চান্দাগাঁও ক্যাম্প কার্যালয় থেকে সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার পলাশ সাহার লাশ উদ্ধার করা হয়, তার কক্ষ থেকে একটি আগ্নেয়াস্ত্র এবং চিরকুটও পাওয়া গেছে।
চিরকুটে মৃত্যুর জন্য নিজেকে ছাড়া আর কেউ দায়ী করেননি পলাশ সাহা; বিসিএস ৩৭ ব্যাচের পলাশ সাহার বাড়ি গোপালগঞ্জের কোটালিপাড়ায়।
উপ-কমিশনার আমিরুল ইসলাম বলেন, খবর পাওয়ার পর র্যাবের চান্দগাঁও ক্যাম্প থেকে গুলিবিদ্ধ পলাশ সাহাকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এদিকে র্যাব-৭ এর হোয়াটসআপ গ্রুপে এক বার্তায় বলা হয়েছে, এ দিন সকাল সাড়ে ১০টার দিকে সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার পলাশ সাহা অভিযানের প্রস্তুতি নেওয়ার সময় অস্ত্র ইস্যু করে নিজের অফিস কক্ষে প্রবেশ করেন। কিছু সময় পর গুলির শব্দ শুনে দায়িত্বরত অন্যান্য র্যাব সদস্যরা সেখানে গিয়ে মাথায় গুলিবিদ্ধ অবস্থায় সুপার পলাশ সাহাকে পড়ে থাকতে দেখেন। এছাড়া সকালে ইস্যু করা পিস্তলটি সেখানে পড়ে ছিল এবং টেবিলে একটি ‘সুসাইড নোট’ পেয়েছেন র্যাব সদস্যরা।
এক পুলিশ কর্মকর্তা বলেছেন, পলাশ সাহার কক্ষ থেকে উদ্ধার করা চিরকুটের লেখা অনুযায়ী তিনি ‘পারিবারিক’ কারণে আত্মহত্যা করেছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
তার কক্ষ থেকে উদ্ধার করা চিরকুঠে লেখা আছে, ‘আমার মৃত্যুর জন্য মা এবং বউ কেউ দায়ী না। আমিই দায়ী, কাউকে ভালো রাখতে পারলাম না।’ ওই চিরকুটে নিজের মাকে দেখে রাখার কথাও লিখে গেছেন ওই র্যব কর্মকর্তা।
তিনি লিখেছেন, ‘বউ যেন সব স্বর্ণ নিয়ে যায় এবং ভালো থাকে। মায়ের দায়িত্ব দুই ভাইয়ের উপর। তারা যেন মাকে ভালো রাখে। স্বর্ণ বাদে যা আছে তা মায়ের জন্য। দিদি যেন কো-অর্ডিনেট করে।’