বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে হামলার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় সিলেটের জকিগঞ্জ প্রেসক্লাব সভাপতি, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ আওয়ামী লীগের অঙ্গ সংগঠনের ২৬ নেতাকর্মীকে আদালতে আত্মসমর্পণের পর কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
সোমবার দুপুরে সিলেটের সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ আদালতে আসামিরা আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন। পরে বিচারক শেখ আশফাকুর রহমান তাদের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিলেট জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) আশিক উদ্দিন।
জামিন নামঞ্জুর হওয়া আসামিরা হলেন- জকিগঞ্জ প্রেসক্লাব সভাপতি আবুল খায়ের চৌধুরী, জকিগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম, আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুল খালিক, পৌরসভার ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সভাপতি মুহিবুর রহমান, উপজেলা আওয়ামী লীগ সদস্য আলী আহমদ, ফজলুর রহমান, ইকবাল আহমদ, উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক আল আমিন আব্দুল্লাহ সুমন, উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি দেলোয়ার চৌধুরী, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা উদ্দিন, উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি সুলতান আহমদ, ছাত্রলীগ নেতা জাহাঙ্গীর চৌধুরী, উপজেলা ছাত্রলীগ সাংগঠনিক সম্পাদক খালেদ আহমদ, যুগ্ম সম্পাদক শাহরিয়ার আহমদ সাগর, সাইদুর রহমান সাইদ, যুবলীগ নেতা সাইদুল ইসলাম, সালেহ আহমদ, এতিমখানার শিক্ষক মারুফ আহমদসহ ২৬ নেতাকর্মী।
আত্মসমর্পণকারী আসামিদের মধ্যে কারো কারো বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে। এর আগে তারা উচ্চ আদালত থেকে আট সপ্তাহের জামিনে ছিলেন। জামিনের শর্ত মোতাবেক সোমবার আদালতে আত্মসমর্পণ করেন তারা।
এদিকে আদালতে আত্মসমর্পণ করতে আসা নেতাকর্মীদের ওপর ডিম ছুঁড়ে শারীরিকভাবে হেনস্থা করেছে মামলার বাদী, স্বাক্ষীসহ উপস্থিত বিক্ষুব্ধ জনতা। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ উত্তেজিত জনতাকে ধাওয়া দিয়ে সরিয়ে দেয়।
সিলেট জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) আশিক উদ্দিন বলেন, চার মামলায় ২৬ আসামি আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত তাদের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
জানা গেছে, ২০২৪ সালের ৪ আগস্ট জকিগঞ্জে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে হামলার অভিযোগে থানায় একটি মামলা রুজু ও আদালতের নির্দেশে বিস্ফোরক আইনে জকিগঞ্জ থানায় আরও তিনটি মামলা রেকর্ড করে পুলিশ। ওই চার মামলায় আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগ নেতাকর্মী, বিএনপি নেতা, জামায়াত নেতা, শিক্ষক, সাংবাদিক ও ব্যাংকারসহ বিভিন্ন সংগঠনের এক হাজারেরও বেশি নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়।