রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) এক শিক্ষার্থীকে সন্ত্রাসী কায়দায় মোটরসাইকেল থামিয়ে মারধর করে তুলে নিয়েছে স্থানীয় মতিহার থানা ছাত্রদল-যুবদলের নেতাকর্মীরা। সোমবার (১২ মে) রাত ১০ টার সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে ঘটনা ঘটে।
সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, মোটরসাইকেল নিয়ে দুই শিক্ষার্থী ক্যাম্পাসে প্রবেশের সময় আগে থেকে অনুসরণ করা কয়েকজন তাদের মারধর করে তুলে নিয়ে মতিহার থানায় সোপর্দ করে। আটককারীরা মতিহার থানা ছাত্রদল-যুবদলের নেতাকর্মী বলে নিশ্চিত করেছে মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল মালেক।
তিনি বলেন, রাবির প্রধান ফটকের সামনে থেকে অরিত্র নামের এক ছাত্রকে ছাত্রলীগ সন্দেহে তুলে থানায় সোপর্দ করেছে মতিহার থানা ছাত্রদল-যুবদলের নেতাকর্মীরা। প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছি এলাকার এবং ক্যাম্পাসের ছাত্রলীগের নেতার সাথে তার ছবি আছে। এখন দুই পক্ষই থানায় রয়েছে। আরেক শিক্ষার্থীর মোবাইল ফোন কেড়ে নিয়েছিল সেটা ফেরত দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে থানায় কোনো অভিযোগ দেওয়া হয় নি।
ওই শিক্ষার্থীর নাম অরিত্র। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। তিনি নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের রাবি শাখার সাধারণ সম্পাদক আসাদুল্লা-হিল গালিবের অনুসারী ছিলেন বলে জানা গেছে। রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর তিনি ক্যাম্পাস ছাড়েন। সম্প্রতি রাজশাহী আসলেও ক্লাসে অংশগ্রহণ করেননি।
এ বিষয়ে উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক মো. শাহিদুল আলম বলেন, আমাদের একজন ছাত্রকে পুলিশে সোপর্দ করার খবর শুনেছি। কিন্তু পরিচয় এখনো জানতে পারিনি। ওই ছাত্র কোনো রাজনীতির সঙ্গে জড়িত কি না আমি জানি না। বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বললে জানতে পারবো।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান বলেন, আমরা সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে নিশ্চিত হয়েছি একটা ছেলেকে তুলে নিয়ে পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে। ঐ ছেলে ছাত্রলীগের রাজনীতি করতো। তার পরিবারও আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। এখন সে থানায় আছে।
ক্যাম্পাস থেকে একজন শিক্ষার্থীকে এভাবে তুলে নিয়ে থানায় সোপর্দ করার এখতিয়ার কোনো ছাত্র সংগঠনের নেতাকর্মীর আছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, সেটার জবাব আমি এখন দিতে পারব না।