ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা অনুষদের শিক্ষার্থী শাহরিয়ার আলম সাম্য হত্যার প্রতিবাদ ও বিচার দাবিতে মশাল মিছিল এবং বিক্ষোভ সমাবেশ করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়টির শিক্ষার্থীরা। বুধবার (১৪ মে) সন্ধ্যা ৭টায় ‘সন্ত্রাসবিরোধী শিক্ষার্থীবৃন্দ’র ব্যানারে এ মিছিল হয়। মিছিলটি সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশ থেকে কেন্দ্রীয় মসজিদ, সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ, হলপাড়া প্রদক্ষিণ করে ভিসির বাসভবনের সামনে গিয়ে জড়ো হয়।
সমাবেশে ছাত্রদল, ছাত্র ইউনিয়ন, ছাত্রফ্রন্ট, বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রী, ছাত্র ফেডারেশনসহ ক্যাম্পাসভিত্তিক অন্যান্য বামপন্থী সংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
ঢাবিতে আজ বৃহস্পতিবার অর্ধবেলা ছুটি ঘোষণাকে ‘হাসিনামার্কা’ শোক পালন আখ্যা দিয়ে ঘৃণাভরে প্রত্যাখানের ঘোষণা দিয়েছেন ‘সন্ত্রাসবিরোধী শিক্ষার্থীবৃন্দ’। তারা বিকেল ৪টায় অপরাজেয় বাংলার সামনে একই ব্যানারে শোক সমাবেশ ঘোষণা করেছেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রীর সংগঠন সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম রিয়াদ ‘সন্ত্রাসবিরোধী শিক্ষার্থীবৃন্দ’ প্ল্যাটফর্মের পরবর্তী কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছেন। তিনি জানান, বিকেল ৪টায় অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। রিয়াদ বলেন, ‘রাজনৈতিক বা ধর্মীয় পরিচয়নির্বিশেষে সব সচেতন শিক্ষার্থীকে আমরা সেখানে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।’
রিয়াদ আরও বলেন, ‘আজ বিশ্ববিদ্যালয়ে স্বাভাবিকভাবে ক্লাস, পরীক্ষা, খেলাধুলাসহ সকল কার্যক্রম চলেছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আগামীকাল যে শোক কর্মসূচি ঘোষণা করেছে, আমরা তা প্রত্যাখ্যান ও নিন্দা জানাচ্ছি। অনেকে বলছেন, ভাইস চ্যান্সেলর ও প্রক্টরের কোনো দায় নেই সাম্যের হত্যাকাণ্ডে। কিন্তু গত ৯ মাসে এই ক্যাম্পাসে তিনটি লাশ পড়েছে। তাহলে তাঁরা দায় নেবেন না কেন?’
তিনি আরও বলেন, ‘যারা উপাচার্যকে আড়াল দেওয়ার চেষ্টা করছেন, তারা মূলত তোফাজ্জল ও সাম্যের মৃত্যু বৈধতা দেওয়ার কাজ করছেন। আমরা ব্যর্থ উপাচার্য ও প্রক্টরের পদত্যাগের দাবিতে কাল অপরাজেয় বাংলায় সমাবেশ করব। সব মত, পথ ও বিশ্বাসের মানুষকে আমরা এই কর্মসূচিতে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানাই।’