গাড়িতে লেখা ছিল মন্ত্রণালয়ের নাম, তল্লাশিতে মিলল ৮০ বোতল মদ

: যথাসময় ডেস্ক
প্রকাশ: ১২ ঘন্টা আগে

প্রাইভেটকারের সামনে লেখা ছিল ‘জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়’। ছিল গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মনোগ্রামও।  ব্যক্তিকে দেখলেও মনে হওয়ার কোনো কারণ নেই তিনি মন্ত্রণালয়ের কেউ হবেন না। কিন্তু প্রাইভেটকারটিতে পাওয়া গেল ৮০ বোতল মদ। যার ৩৪ বোতল বিদেশি এবং ৪৬ বোতল দেশি। বিদেশি মদ কাঁচের বোতলে থাকলেও দেশীয় কেরু অ্যান্ড কোম্পানির মদগুলো ছিল প্লাস্টিকের বোতলে।

বুধবার(১৪ মে) রাত ৮টায় খুলনার খানজাহান আলী রূপসা সেতুর পূর্বপাড়ের টোল প্লাজা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর খুলনার ‘খ’ সার্কেলের একটি টিম ওই প্রাইভেটকারসহ মদ উদ্ধার করে। এ সময় গ্রেপ্তার দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

তারা হলেন মো. আব্দুর রহিম শরীফ(৫৩) এবং গাড়িচালক মো. ওহাব শিকদার(৬০)। আব্দুর রহিম শরীফ ঝালকাঠি জেলার নলছিটি থানার ভৈরবপাশা ইউনিয়নের প্রতাপ এলাকার স্থায়ী বাসিন্দা। তবে বর্তমানে ঢাকার কামরাঙ্গীরচর চৌরাস্তার হজরতনগর এলাকায় থাকেন তিনি। প্রাইভেটকার চালক মো. ওহাব শিকদার ফরিদপুরের নগরকান্দার স্থায়ী বাসিন্দা হলেও বর্তমানে ঢাকার লালবাগের আমরেগোলা এলাকায় বসবাস করেন।

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর খুলনার উপ-পরিচালক মো. মিজানুর রহমান জানান, গ্রেপ্তাররা ঢাকা থেকে দেশি-বিদেশি মোট ৮০ পিস মদের ইনটেক্ট বোতল নিয়ে খুলনায় আসছিল। এ সময় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের ‘খ’ সার্কেলের একটি টিম রূপসা সেতুর টোল প্লাজা থেকে তাদের আটক করে। তবে উদ্ধার মদের মূল্য প্রাথমিকভাবে নিরূপণ করা যায়নি।

আটকরা জানান, ঢাকার একটি মাদক কারবারি গ্রুপের কাছ থেকে মাঝে মধ্যে ভাড়া করা প্রাইভেটকারে করে খুলনায় এসে ওই মদের চালান খুলনার কারবারি গ্রুপের কাছে দিয়ে চলে যান তারা। এর আগেও তারা একাধিকবার খুলনায় আসেন।

প্রথমে তারা সেগুলো নিয়ে জিরো পয়েন্টে আসেন। সেখানে ঢাকার কারবারিদের কাছ থেকে গাড়ির নম্বর পেয়ে খুলনার মাদক কারবারিরা বিশেষ সিগনালের মাধ্যমে অন্য গাড়িতে মদগুলো তুলে নিয়ে যায়। তবে খুলনার কারা এর সঙ্গে জড়িত, তাদের কারো নাম বলতে পারেননি গ্রেপ্তাররা।

অবশ্য মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কাছে আটক হওয়ার পর একাধিকবার আব্দুর রহিম শরীফের মোবাইলে জামাল নামের একজন হোয়াটসঅ্যাপে কল দেয়। কিন্তু আব্দুর রহিম জামাল নামে কাউকে চেনেন না বলে জানান।

প্রাইভেটকার চালক মো. ওহাব শিকদার মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সদস্যদের কাছে জানান, তিনি একজন অবসরপ্রাপ্ত সচিবের গাড়ির ড্রাইভার। ওই সচিবের নাম রাশেদ খান। যার বাড়ি মানিকগঞ্জ এবং সেখানে রাশেদ খানের নামে একটি কলেজও রয়েছে। তবে গাড়িটি রাশেদ খানের স্ত্রী রাবেয়া খাতুনের নামে। রাবেয়া খাতুন একজন স্কুলশিক্ষক বলেও জানান চালক।

  • গাড়ি
  • তল্লাশি
  • মদ
  • #