রাজধানীর বাড্ডা থানাধীন দক্ষিণ আনন্দ নগরের আনসার ক্যাম্পের পাশে একটি বাসার রান্নাঘরে জমে থাকা গ্যাস বিস্ফোরণে সন্তানের মৃত্যুর পর এবার মা মঞ্জুরা বেগম (৩৫) জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। রোববার (১৮ মে) রাত সাড়ে ১০টার দিকে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের ফিমেল হাই ডিফেন্সিভ কেয়ার ইউনিটে (এফএইচডিইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় যান তিনি। এর আগে বিকাল ৩টার দিকে ৬৬ শতাংশ দগ্ধ নিয়ে জাতীয় বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় তার শিশুকন্যা তানজিলা।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন ডা. শাওন বিন রহমান। তিনি বলেন, গত শুক্রবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে দগ্ধ অবস্থায় একই পরিবারের নারী শিশুসহ পাঁচজনকে আমাদের জরুরি বিভাগের নিয়ে আসা হয়েছিল। আজ রাত সাড়ে ১০টার দিকে মনজুরা বেগম এবং বিকাল ৩টার দিকে তার শিশু কন্যা তানজিলা চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়। মনজুরা বেগমের শরীরে ৬৭ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল।
তিনি আরও জানান, এই ঘটনায় নিহত শিশুর বাবা তোফাজ্জল হোসেন শরীরে ৮০ শতাংশ, তার মেয়ে মিথিলা ৬০ শতাংশ ও তানিশা ৩০ শতাংশ দগ্ধ অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। তাদের সবার অবস্থা আশঙ্কাজনক।
শুক্রবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে দগ্ধ অবস্থায় তাদের জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট এর জরুরি বিভাগে নিয়ে আসা হয়। দগ্ধরা হলেন তোফাজ্জল হোসেন (৪৫) তার স্ত্রী মঞ্জুরা বেগম (৩৫), তাদের মেয়ে তানিশা (১১), মিথিলা (৭) ও তানজিলা (৪)। দগ্ধ তোফাজ্জলের বাড়ি ঠাকুরগাঁও সদরের চিলা রং গ্রামের স্থায়ী বাসিন্দা। বর্তমানে বাড্ডার দক্ষিণ আনন্দনগর আনসার ক্যাম্প বাজার এর পাশে তৃতীয় তলা ভবনের নিচ তলায় পরিবার নিয়ে থাকতেন।