রাবিতে ছাত্রজোট ও শাহবাগবিরোধীদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া

মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় জামায়াতে ইসলামীর নেতা এটিএম আজহারুল ইসলাম কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছেন। এবার এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়েছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের বামপন্থি ছাত্রদের সংগঠন গণতান্ত্রিক ছাত্র জোটের সাথে শাহবাগ বিরোধী ঐক্যের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও ইট পাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় শিবির নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। শাখা ছাত্রশিবিরের দপ্তর সম্পাদক মেহেদী হাসানের হস্তক্ষেপে উভয়পক্ষের মধ্যে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। এ ঘটনায় উভয় পক্ষের প্রায় ৪ শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।

মঙ্গলবার (২৭ মে) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় জামায়াত নেতা এটিএম আজহার উদ্দিনকে দায় মুক্তির প্রতিবাদে মশাল মিছিল শুরু করে গণতান্ত্রিক ছাত্র জোট। অন্যদিকে একই ঘটনায় আনন্দ মিছিল ও শাহবাগীদের বিচারের দাবিতে ‘শাহবাগ বিরোধী ঐক্যে জোট’ বিক্ষোভ মিছিল করে। রাত সাড়ে ৮টার দিকে শহীদ বুদ্ধিজীবী চত্বরে তাদের মধ্যে ধস্তাধস্তি ও ইট পাটকেল নিক্ষেপ করা হয়। এবং পরবর্তীতে পরিবহন চত্বরে আবার পাল্টাধাওয়া ও উভয় পক্ষ থেকে ইট পাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে।

শাহবাগ বিরোধী ঐক্যের আহ্বায়ক রাকিবুল ইসলাম বলেন, আমাদের শান্তিপূর্ণ মিছিলে তারা পেছন থেকে মশাল নিয়ে হামলা চালায়। এ হামলার দায় আমরা তাদের। রাষ্ট্র কর্তৃক সিদ্ধান্ত আসার পরেও যারা মেনে নেয় না। ২০১৩ সালে রাষ্ট্রের সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে শাহবাগে একটা মবতন্ত্র কায়েম করেছিল। তারা যে ফ্যাসিবাদ কায়েম করেছিল সেটা ২০২৪-এ এসে বিশ হাজের অধিক ছাত্রজনতার রক্তের বিনিময়ে ক্লোজ হয়েছে। রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে গিয়ে তারা আবার মিছিল করছে। এজন্য আমরা শাহবাগীদের বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ করছিলাম।

এদিকে ‘একাত্তর হারেনি, হেরে গেছে হাসিনা’, ‘তুমি কে আমি কে, ৭১-২৪’, ‘চিহ্নিত রাজাকার, এই মুহূর্তে বাংলা ছাড়’, ‘রাজাকারের ঠিকানা, এই বাংলায় হবে না’, স্লোগান দেন গণতান্ত্রিক ছাত্রজোটের নেতাকর্মীরা।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম বলেন, জামায়াত নেতা এটিএম আজহারের অবৈধ মুক্তির ঘোষণা বাতিলের দাবিতে আমরা শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ মিছিল করেছিলাম। এসময় শাহাবাগী বিরোধী ছাত্র ঐক্যের নেতাকর্মীরা আমাদের উপর হামলা চালায়। সেখানে শিবিরের বিভিন্ন হলের নেতাকর্মী এবং শাখা শিবিরের নেতাকর্মীরাও উপস্থিত ছিলেন।