পিরোজপুরের নেছারাবাদে সাধন দাস (৩২) নামে এক ব্যবসায়ীর বিবস্ত্র (উলঙ্গ) ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (৩ জুন) গভীর রাতে বাড়ীর পাশে সন্ধ্যা নদী সংলগ্ন একটি মাল্টা বাগানে কাউফলা গাছ থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়। সাধন দাস নেছারাবাদ উপজেলার সমুদয়কাঠি ইউনিয়নের বিনায়েকপুর গ্রামের ২ নং ওয়ার্ডের মৃত শংকর দাসের ছেলে। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য পিরোজপুর মর্গে পাঠিয়েছেন।
সাধন দাসের স্ত্রী সরস্বতী রানী দাস বলেন, মঙ্গলবার সকাল আনুমানিক দশটার দিকে বাসা থেকে তিনি বের হয়ে যান। দুপুরে বাসায় না ফেরায় তার সাথে যোগাযোগের অনেক চেষ্টা করা হয়। এরপর রাতেও বাসায় না আসায় প্রতিবেশিরা মিলে খোঁজাখুঁজি শুরু করে। একপর্যায়ে বাড়ীর পিছনে সন্ধ্যা নদীর পাশে একটি মাল্টা বাগানের ভিতরে কাউফলা গাছের সাথে তার ঝুলন্ত লাশ দেখতে পাওয়া যায়। প্রতিবেশী সুজিত এবং সাগর তার লাশ দেখতে পেয়ে ডাক চিৎকার দিলে ছুটে এসে সাধনের ঝুলন্ত দেহ দেখতে পান। পুলিশ খবর পেয়ে রাত আনুমানিক বারোটার দিকে তার লাশ উদ্ধার থানায় নিয়ে যায়।
স্থানীয় পলাশ দাশ জানান, সাধন দাস বাড়ির পাশে শেয়ারে মুড়ি তৈরি করার ব্যবসা করত। মঙ্গলবার ঘরের কাউকে না বলে দশটার দিকে বেরিয়ে যায়। রাত্রে বাড়িতে না আসলে তার পরিবার প্রতিবেশীকে জানালে এক পর্যায়ে মালটা বাগানে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় পাওয়া গেছে। মৃতের হাটু মাটিতে ও বিবস্ত্র ছিল। এ মৃত্যু রহস্যজনক!
স্থানীয় চৌকিদার মো. ইমরান হাওলাদার বলেন, রাতে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে ঝুলন্ত লাশ দেখে পুলিশকে খবর দেই। লাশ থানায় নিয়ে গেছে।
নেছারাবাদ থানার ওসি তদন্ত রাধেশ্যাম সরকার জানান, খবর পেয়ে তার ঝুলম্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তিনি বলেন, পরনের লুঙ্গি দিয়ে তার গলায় ফাঁস লাগানো ছিল। তার শরীরে আপাতদৃষ্টিতে আঘাতের কোন চিহ্ন দেখা যায়নি। এ ব্যাপারে পারিবারিকভাবে থানায় কোন অভিযোগ আসেনি।