নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার উপজেলার বিশনন্দী ফেরিঘাটে সিএনজিচালিত অটোরিকশাসহ চার যাত্রী নদীতে পড়ে গেছে। এই ঘটনায় দুইজন যাত্রীকে উদ্ধার করা গেলেও এখনো দুই নারী নিখোঁজ রয়েছেন। ঈদুল আজহার দিন শনিবার ভোর ৪টার দিকে মর্মান্তিক এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিখোঁজ দুই নারী হলেন খালেদা বেগম (৪০) ও ফারজানা বেগম (১৯)। উদ্ধার হওয়া দু’জন হলেন খালেদা বেগমের ছেলে কামাল হোসেন (১৯) ও ফারজানা বেগমের স্বামী সাগর হোসেন। তারা বর্তমানে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন। চারজনই ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার রসুলবাগ এলাকার বাসিন্দা।
জানা গেছে, ঈদের ছুটিতে ঢাকা থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে ফিরছিলেন তারা। ভোরে বিশনন্দী ফেরিঘাটে পৌঁছে সিএনজিসহ ফেরিতে ওঠেন। ফেরি ছাড়ার দুই মিনিটের মাথায় হঠাৎ করেই সিএনজিটি নদীতে পড়ে যায়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ফেরির পাশে কোনো রেলিং বা সুরক্ষা ব্যবস্থা ছিল না। ফলে ফেরি সামান্য কাত হয়ে এমন দুর্ঘটনা ঘটছে। ঘটনার পরপরই আড়াইহাজার ফায়ার সার্ভিসের একটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছায়।
আড়াইহাজার ফায়ার সার্ভিসের ইনচার্জ রবিউল হাসান বলেন, ঘটনার খবর পেয়ে দ্রুত আমরা উদ্ধার অভিযান শুরু করি। দুইজন পুরুষ যাত্রীকে জীবিত উদ্ধার করা সম্ভব হলেও এখন পর্যন্ত দুইজন নারী নিখোঁজ রয়েছেন। নদীতে পানি প্রবল হওয়ায় উদ্ধার কাজ জটিল হচ্ছে। আমরা ঢাকার ডুবুরি দলের সহায়তা নিচ্ছি।
এদিকে নিখোঁজদের স্বজনরা নদীর তীরে অপেক্ষা করছেন। তাদের কান্নায় ভারী হয়ে উঠেছে গোটা এলাকা।
দুর্ঘটনার খবর পেয়ে সকালে ঘটনাস্থলে ছুটে যান আড়াইহাজার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সাজ্জাত হোসেন। তিনি উদ্ধারকৃতদের চিকিৎসার খোঁজখবর নেন এবং ঘটনাস্থলে উপস্থিত থেকে উদ্ধার কার্যক্রম তদারকি করেন।
তিনি বলেন, এটা অত্যন্ত মর্মান্তিক একটি দুর্ঘটনা। ফেরিতে নিরাপত্তাব্যবস্থার ঘাটতি ছিল কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরেই বিশনন্দী ফেরিঘাটে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেই বললেই চলে। ফেরিতে নেই রেলিং, নেই কোনও সতর্কীকরণ চিহ্ন। ফলে মাঝেমধ্যেই ছোটখাটো দুর্ঘটনা ঘটে।