লক্ষ্মীপুরে পূর্বশত্রুতার জের ধরে প্রতিপক্ষের হামলায় জামায়াত নেতা কাউছার আহমেদ মিলনের নিহতের ঘটনায় বিএনপির ১২ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে থানায় হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। রোববার (৮ জুন) রাতে নিহতের স্ত্রী শিল্পী বেগম বাদী হয়ে এ হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার আসামিরা হলেন মো. রিয়াজ, রনি, কামাল, সোহাগ, জহির, রকি, বাবুল, সোহেগ হেবেছা, বাবুল, সাহেদ, সুমন, স্বপন আহমেদ ও অজ্ঞাত ২০ জন। তারা আদিলপুর ও রাজিবপুর এলাকার বাসিন্দা।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, বিভিন্ন ঘটনা নিয়ে অভিযুক্তদের সঙ্গে নিহত কাউছারদের বিরোধ চলে আসছিল। এর জের ধরে বৃহস্পতিবার (৫ জুন) দুপুরে রাজিবপুর এলাকায় বাদীর বাড়ির সামনে অভিযুক্তরা দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্রে সজ্জিত হয়ে কাউসারের ভাই আফতাব হোসেন আরজুর ওপর হামলা করে। এসময় তাকে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে আহত করা হয়। ঘটনাটি দেখে কাউছার তার ভাইকে বাঁচাতে যায়। তখন তার মাথার পেছনে লোহার রড দিয়ে কয়েকটি আঘাত করা হয়। এরপর মাটিতে লুটিয়ে পড়লে তাকে এলোপাতাড়ি পেটানো হয়। পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। হাসপাতালের সামনে তাদের হত্যার হুমকি দেওয়া হয়৷ এতে ভয়ে তারা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাড়িতে চলে আসে। পরে সন্ধ্যায় কাউছারের শারিরীক অবস্থার অবনতি হলে সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
লক্ষ্মীপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল মোন্নাফ বলেন, নিহতের স্ত্রী থানায় মামলা দায়ের করেছেন। আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশ কাজ করছে।
এদিকে কাউছারকে খুনের প্রতিবাদ ও খুনিদের গ্রেপ্তারের দাবিতে সোমবার (৯ জুন) দুপুরে বিক্ষোভ মিছিলের ডাক দিয়েছে জামায়াত। দলের জেলা কমিটির সেক্রেটারি ফারুক হোসাইন নুরনবী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
অন্যদিকে ঘটনাকে কেন্দ্র করে একই দিন সকাল ১০টার দিকে শহরের গোডাউন রোড এলাকার বশির ভিলা হলরুমে প্রেসব্রিফিংয়ের আয়োজন করেছে বিএনপি। জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট হাসিবুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
উল্লেখ্য, নিহত কাউছার আহমেদ রাজিবপুর এলাকার মৃত মমিন উল্যার ছেলে ও বাঙ্গাখাঁ ইউনিয়ন জামায়াতের ওলামা বিভাগের ১ নম্বর ওয়ার্ডের সভাপতি। তিনি স্থানীয় একটি মসজিদের ইমাম ছিলেন।