সমন্বয়ক পরিচয়ে চাঁদা দাবি, ৩ জনকে গণপিটুনি দিয়ে সেনাবাহিনীর হাতে হস্তান্তর

: যথাসময় ডেস্ক
প্রকাশ: ২ মাস আগে

সাতক্ষীরার দেবহাটা উপজেলার পুষ্পকাটি গ্রামে সমন্বয়ক পরিচয়ে চাঁদা দাবি করে এক ইটভাটা মালিককে ছুরিকাঘাত এবং নয় লাখ টাকা ও সাত ভরি সোনার গহনা ছিনতাইয়ের অভিযোগ উঠেছে। বৃহস্পতিবার (১২ জুন) দুপুরে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর গ্রামবাসী তিন জনকে আটক করে গণপিটুনি দিয়ে সেনাবাহিনীর হাতে তুলে দিয়েছে। আটক তিনজন হলেন দেবহাটা উপজেলার বহেরা গ্রামের নাহিদ হাসান, শ্যামনগরের কৈখালী গ্রামের আব্দুর রহিম এবং আশাশুনি উপজেলার আব্দুর রহমান।

আহত ব্যক্তি দেবহাটা উপজেলার কুলিয়া ইউনিয়নের ইউপি সদস্য ও বিসমিল্লাহ ব্রিকস-এর মালিক গোলাম রব্বানী। তিনি জানান, বৃহস্পতিবার দুপুর ২টার দিকে পাঁচ যুবক অস্ত্রসহ তার বাড়িতে এসে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে। তিনি রাজি না হলে দুই যুবক তাকে ছুরি দিয়ে বাহু ও পিঠে আঘাত করে। এ সময় তিনি প্রাণে বাঁচতে দৌড়ে পালিয়ে যান।

একই সময় তার ভাই আব্দুর রবের মেয়ে ও জামাতা বাড়িতে এসেছিলেন। তারা দুটি সোনার রুলি, একটি সোনার চেইন, তিনটি আংটি এবং নয় লাখ টাকা একটি ড্রয়ারে রেখে বারান্দায় খাবার খাচ্ছিলেন। এই সুযোগে অস্ত্রধারীরা বারান্দায় উঠে রবের স্ত্রী সেলিনা খাতুনের মাথায় শটগান ঠেকায় এবং রবকে আঘাত করে। এরপর ঘরে ঢুকে টাকাসহ গহনা লুট করে নিয়ে যায়।

তাদের চিৎকারে প্রতিবেশীরা ছুটে এসে তিন যুবককে ধরে গণপিটুনি দেয়। পরে সেনাবাহিনীর কর্নেল রিয়াদ হাসানের নির্দেশে সাতক্ষীরা সেনা ক্যাম্পের সদস্যরা বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে তাদের হেফাজতে নেয়।

এ ব্যাপারে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দেবহাটা উপজেলার আহ্বায়ক মুজাহিদ ফিরোজ সাংবাদিকদের বলেন, গোলাম রব্বানী কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের সক্রিয় কর্মী ছিল। সমন্বয়করা বৃহস্পতিবার তাদের বাড়িতে গেলে তাদের ওপর পরিকল্পিত হামলা চালিয়ে তিন জনকে সেনাবাহিনীর হাতে তুলে দেয়। এটা একটি গভীর ষড়যন্ত্র।

দেবহাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. গোলাম কিবরিয়া বলেন, সেনাবাহিনী আটকদের পুলিশের হাতে তুলে না দিলে বিস্তারিত জানানো যাবে না।

  • গণপিটুনি
  • চাঁদা
  • দাবি
  • সমন্বয়ক
  • সেনাবাহিনী
  • #