কাতারে মার্কিন সামরিক ঘাঁটি আল-উদেইদে ইরানের পাল্টা হামলার ঘটনায় সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাত তীব্র নিন্দা জানিয়েছে।
সৌদি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানায়, আমরা এই হামলাকে সবচেয়ে কঠোর ভাষায় নিন্দা জানাই। ইরান কাতারে মার্কিন সেনাদের লক্ষ্য করে যে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে, তা গ্রহণযোগ্য নয় এবং ‘আন্তর্জাতিক আইন ও সুসম্পর্কের নীতিমালার সুস্পষ্ট লঙ্ঘন’ হিসেবে আখ্যা দিয়ে দেশটি মন্তব্য করেছে। কাতারকে পূর্ণ সমর্থনের আশ্বাস দিয়ে বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ভ্রাতৃপ্রতিম কাতার রাষ্ট্রের পাশে সৌদি আরব সম্পূর্ণরূপে রয়েছে। তাদের নেওয়া সব প্রতিরক্ষা পদক্ষেপে আমরা আমাদের সর্বোচ্চ সক্ষমতা দিয়ে সহায়তা করব।
এদিকে, কাতারের আল-উদেইদ মার্কিন সামরিক ঘাঁটিতে ইরানের প্রতিশোধমূলক ক্ষেপণাস্ত্র হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাত। দেশটির রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা ডব্লিউএএম এক বিবৃতিতে জানায়, আমিরাত কাতারের সার্বভৌমত্ব ও আকাশসীমায় ইরানি বিপ্লবী গার্ডের এই হামলাকে আন্তর্জাতিক আইন ও জাতিসংঘ সনদের সরাসরি লঙ্ঘন হিসেবে বিবেচনা করছে। বিবৃতিতে আরও বলা হয়, আমিরাত কাতার ও আঞ্চলিক নিরাপত্তাকে হুমকির মুখে ফেলে এমন যেকোনো হামলার ঘোর বিরোধিতা করে।
এই অবস্থান স্পষ্ট করে মধ্যপ্রাচ্যের প্রতিবেশী দেশগুলো একে অপরের আঞ্চলিক নিরাপত্তার প্রশ্নে একাত্মতা প্রকাশ করছে। এর আগে সৌদি আরব এবং কাতারও ইরানের হামলার বিরুদ্ধে কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে।
আল-উদেইদ ঘাঁটি কাতারে অবস্থিত যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সামরিক ঘাঁটি, যেখানে মার্কিন ও কাতারি সেনারা যৌথভাবে অবস্থান করছে। ইরানের এই হামলা মধ্যপ্রাচ্যের নিরাপত্তা পরিস্থিতিকে নতুন করে উত্তেজিত করে তুলেছে। এরই মধ্যে কাতার, কুয়েত ও বাহরাইন নিজেদের আকাশসীমা সাময়িকভাবে বন্ধ করে দিয়েছে।