বীর মুক্তিযোদ্ধা দেবাশীষ গুহ বুলবুল চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক ছিলেন। তিনি ২০২০ সালে কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হয়ে মারা যান। ২০২৩ সালের মে মাসের ৭ তারিখ রোববার বিকাল ৪টা ৩ মিনিটে বন্দর নগরীর ম্যাক্স হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয় অমল মিত্রের। ৭২ বছর বয়সী অমল মিত্র চট্টগ্রাম নগর আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য ছিলেন।
মঙ্গলবার চট্টগ্রাম নগরীর কোতয়ালী থানায় দায়ের হওয়া হত্যা মামলায় (মামলা নম্বর ৩) এই দুই জনকে এজাহার ভূক্ত আসামী করা হয়েছে। মামলায় দেবাশীষ গুহ বুলবুলকে ৫৫ নম্বর এবং অমল মিত্রকে ৫৮ নম্বর আসামী করা হয়েছে।
এই মামলাটি দায়ের করেন ২০২৪ সালের ৪ আগস্ট নিউ মার্কেট এলাকায় গুলবিদ্ধ হয়ে পরবর্তি চিকিৎসাধীন অবস্থায় নিহত বিজিসি স্ট্রাস্টের বিবিএ ৩য় বর্ষের ছাত্র মো. কাউসার মাহমুদ (২২) এর পিতা মোঃ আব্দুক মোতালেব মামলাটি দায়ের করেন।
এজাহার সূত্রে জানা যায় গুলিবিদ্ধ মাহমুদ ৪ আগস্ট শরীরের একাধিক স্থানে গুলিবিদ্ধ হন। পরবর্তিতে ঢাকার সিএমএইচ এ চিকিৎসাধীন অবস্থান ২০২৪ সালের অক্টোবর ১৩ তারিখ রাতে মৃত্যু বরণ করেন।
মামলায় সাবেক মন্ত্রী হাসান মাহমুদ, মহিবুল হাসান চৌধুরী, সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ, সাবেক এমপি এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী, সৈয়দ নজিবুল বশর মাইজভাণ্ডারী, সাবেক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন, রেজাউল করিম সহ ৯১ জনের নাম উল্লেখ আছে। মামলার এজাহারে দুইজন মৃত ব্যক্তির নাম ছাড়াও এজাহারে আওয়ামী লীগ চট্টগ্রাম মহানগর কমিটির বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক মশিউর রহমানের নাম এজাহারে একাধিকার দেয়া হয়েছে। এজাহারে মশিউর রহমান চৌধুরীর নাম দুইবার উল্লেখ করা হয়েছে ১৩ এবং ৫৩ নম্বর আসামী হিসেবে। সাবেক কাউন্সিলর জহর লাল হাজারীর নামও এসেছে দুইবার। যা এজাহারে ২৪ নম্বর আসামীর পরিচয়ে সাবেক কাউন্সিলর ও ৫৭ নম্বরে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের উপদপ্তর সম্পাদক পদ উল্লেখ আছে। এই দুটি পদে একই ব্যক্তি জহর লাল হাজারী। নগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি দেবাশীষ নাথ দেবুর নামও এসেছে দু’বার। যা এজাহারে যথাক্রমে ৩৬ ও ৭৩ নম্বরে আসামীর তালিকায় উল্লেখ আছে। নগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক আজিজুর রহমান আজিজের নাম এসেছে দু’বার। এজাহারে ৩৫ ও ৭৪ নম্বরে উল্লেখ আছে। নগর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক জাকারিয়া দন্তগীরের নাম এজাহারে এসেছে যথাক্রমে ১৯ ও ৭০ নম্বর আসামির তালিকায়। নুরুল আজিম রনির নাম এসেছে ১৫ ও ৪১ নন্বর আসামি হিসেবে। নগর আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক চন্দন ধরের নাম এজাহারে এসেছে ১৪ ও ৫২ নম্বর আসামি হিসেবে।
এই বিষয়ে কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুল করিম বলেন, আমরা মামলার এজাহারের ভিত্তিতে মামলা নিয়েছি। বাদি যদি কোন মৃত ব্যক্তির নাম উল্লেখ করে থাকেন তাহলে সেটি তদন্তে বাদ যাবে। একই ব্যক্তির নাম দুইবার উল্লেখের দায় বাদির বলে জানান ওসি কোতোয়ালী।