চট্টগ্রামে আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফকে খুনের ঘটনায় ইসকনের সাবেক সংগঠক চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীকে প্রধান আসামি করে চার্জশিট দিয়েছে পুলিশ। এতে ৩৮ জনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। এছাড়া চারজনকে অব্যাহতি দেওয়ার জন্য আবেদন করা হয়েছে।
মঙ্গলবার রাতে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (প্রসিকিউশন) মফিজুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। দুপুরে চট্টগ্রাম মহানগর আদালতের প্রসিকিউশন শাখায় চার্জশিট জমা দিয়েছেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা।
সূত্র জানায়, নগরীর কোতোয়ালি থানায় দায়ের হওয়া রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় গত বছরের ২৫ নভেম্বর রাতে ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ইসকনের বহিষ্কৃত সংগঠক ও সনাতনী জাগরণ জোট নামে একটি সংগঠনের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে গ্রেফতার করে ডিএমপির গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)। পরদিন ২৬ নভেম্বর তাকে চট্টগ্রাম আদালতে হাজির করা হলে বিচারক কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। কারাগারে পাঠানোর নির্দেশকে কেন্দ্র করে ওই দিন চট্টগ্রাম আদালত প্রাঙ্গণে ত্রাস সৃষ্টি করে চিন্ময়ের অনুসারীরা। তাকে বহনকারী প্রিজনভ্যান প্রায় তিন ঘণ্টা আদালত এলাকায় আটকে রাখে তারা। একপর্যায়ে পুলিশ, বিজিবি লাঠিপেটা ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এতে সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়।
পরবর্তী সময়ে নগরীর লালদিঘীর পাড় থেকে কোতোয়ালি এলাকায় সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষের সময় আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফকে আদালত প্রাঙ্গণের অদূরে নগরীর বান্ডেল সেবক কলোনির সামনে নৃশংসভাবে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় ২৯ নভেম্বর আলিফের বাবা জামাল উদ্দিন নগরীর কোতোয়ালি থানায় ৩১ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরও ১০ থেকে ১৫ জনকে আসামি করে মামলা করেন। আসামিরা সবাই চিন্ময়ের অনুসারী হিসেবে পরিচিত।
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (প্রসিকিউশন) মফিজুর রহমান জানান, ‘আইনজীবী আলিফ হত্যা মামলার চার্জশিট পেয়েছি। চার্জশিটে চিন্ময় দাসকে প্রধান আসামি করা হয়েছে। মামলার আগামী ধার্য তারিখে চার্জশিট আদালতে দাখিল করা হবে।’