পদত্যাগকারীরা হলেন বিশ্বনাথ উপজেলা এনসিপির ১৭ সদস্যের কমিটির যুগ্ম সমন্বয়কারী রুহুল আমিন, সদস্য ধনঞ্জয় বৈধ্য, মো. শাহেদ আহম্মেদ ও গোয়াইনঘাট উপজেলা এনসিপির ২১ সদস্যের কমিটির সদস্য ফাহিম আহমদ।
একই দিন ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে কমিটির সঙ্গে কোনো সম্পৃক্ততা নেই জানিয়ে পদত্যাগ করেছেন ওই কমিটির সদস্য মো. শাহেদ আহম্মেদ। তিনি লেখেন, ‘অদ্য যে বিশ্বনাথ উপজেলার এনসিপির নবগঠিত কমিটি গঠন করা হয়েছে উক্ত যে পদে আমাকে রাখা হয়েছে আমার ঐ কমিটির সাথে কোন সম্পিক্ততা নেই আমি ঐ পদ থেকে পদত্যাগ করলাম।’ আর পদত্যাগ করার কথা গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন ধনঞ্জয় বৈধ্য।
অপরদিকে গোয়াইনঘাট উপজেলা এনসিপির ২১ সদস্যের সমন্বয় কমিটির ১০ নম্বর সদস্য ফাহিম আহমদ ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে পদত্যাগ করেছেন। ফেসবুকে ফাহিম আহমদ (ফাহিম মোনায়েম নামে আইডি) লেখেন, ‘জাতীয় নাগরিক পার্টি- এনসিপি’র গোয়াইনঘাট উপজেলা কমিটিতে আমাকে রাখা হয়েছে, এজন্য কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ। তবে আমার ব্যক্তিগত কারণে আমি কমিটি থেকে স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করছি। আমি এখন থেকে এই কমিটির সাথে সম্পৃক্ত নয়। ধন্যবাদ।’
এ বিষয়ে মো. শাহেদ আহম্মেদ বলেন, আমার সঙ্গে কেউ কোনো আলাপ করেননি। হঠাৎ কিছু দিন আগে আমাকে একজন কল দিয়ে আমার চার কপি ছবি ও আইডি কার্ড নম্বর চেয়েছিল। পরে আর আমি দিইনি। এখন দেখি কমিটিতে আমার নাম। অথচ আমি জানিও না। তাই পদত্যাগ করেছি।’
রুহুল আমিন বলেন, ‘আমি কোনো রাজনীতিতে নেই। তবুও কমিটিতে রাখায় আমি পদত্যাগ করেছি।
ফাহিম আহমদ বলেন, আমি বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সামনের কাতারে ছিলাম। গোয়াইনঘাটে যদি ২-৩ জনকে গোনায় ধরা হয়, তাহলে আমাকে ধরতে হবে। সেই জায়গা থেকে এখন আমাকে নিচের দিকের সদস্য করে রাখা হয়েছে। যার কারণে আমি পদত্যাগ করেছি।
এ বিষয়ে এনসিপির সিলেট জেলার প্রধান সমন্বয়কারী নাজিম উদ্দীন শাহান বলেন, বিশ্বনাথের তিনজন ও গোয়াইনঘাটের একজনের পদত্যাগের খবর পেয়েছি। প্রত্যেকটা উপজেলায় আমাদের জেলা কমিটির দুজন করে সদস্য রয়েছেন। যাঁদের কমিটিতে আনা হয়েছে, তাঁদের যাচাই-বাছাই করে তাঁদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করেই আনা হয়েছে। নিজেদের পছন্দের পদ-পদবি না পাওয়ায় হয়তো মনের ক্ষোভ থেকে পদত্যাগ করেছেন তাঁরা। অনেকে ওপরের দিকে পদ চেয়েছিলেন, সবাইকে তো আর এক পদ দেওয়া যায় না। তাই তাঁরা অনেকটা ক্ষুব্ধ হয়ে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে আমার ধারণা।